Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

ভাসানে দূষণ

নদীর স্বচ্ছতা রক্ষা নিয়ে সারা বছরই চলে নানা কর্মসূচি। কিন্তু দুর্গা পুজোর ভাসানের পরে দুই শহরের একাধিক নদী ভরে রইল দূষণে।নদীর স্বচ্ছতা রক্ষা নিয়ে সারা বছরই চলে নানা কর্মসূচি। কিন্তু দুর্গা পুজোর ভাসানের পরে দুই শহরের একাধিক নদী ভরে রইল দূষণে।

নদীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ দূষণ। —ফাইল চিত্র।

নদীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ দূষণ। —ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৩
Share: Save:

তিস্তা

জলপাইগুড়ি শহরের জুবিলি পার্ক লাগোয়া তিস্তার নদীর বুকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে প্রতিমার কাঠামো। এই নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারীদের অভিযোগ, নদীর জলে প্রতিমায় ব্যবহার করা বিষাক্ত রঙ ভাসতে দেখা যাচ্ছে। মাছের শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে জেলেদেরও চামড়ার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার জে পি পাণ্ডে জানান, তিস্তায় প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ি সমাজ ও নদী বাঁচাও কমিটির আহ্বায়ক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করলা ও তিস্তার জল দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য বারবার আবেদন জানানো হলেও বাস্তব চিত্রের কোনো বদল ঘটেনি।

মহানন্দা

শিলিগুড়ি শহরের প্রধান নদীতে এখন জল খুবই কম। শুক্রবার মহানন্দার ৫টি ঘাটে প্রায় ৩০০ প্রতিমা বিসজর্নের পরে সেই নদীতে পড়ে আছে অনেক কাঠামো। ফুল-পাতা, কলাগাছ পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু, কাঠামো থেকে দূষণ বেড়েই চলেছে। নদীর ধারেও কয়েকটি জায়গায় আবর্জনা জমে রয়েছে। পুরসভার দাবি, বাকি কাঠামো দ্রুত সরানো হবে।

করলা

জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীর বাবুঘাট, সমাজ পাড়া ঘাট, মাসকলাইবাড়ি ঘাট এবং কিংগসাহেবের ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। কিছু কাঠামো তুলে নিয়েছে পুরসভা। কিন্তু, অনেকগুলিই পড়ে জলের গতি রোধ করছে। পুর চেয়ারম্যান মোহন বসু জানান, শনিবার সকাল থেকেই চারটি নৌকো নিয়ে পুরকর্মীরা করলা সাফাইয়ের কাজ করেছেন। রবিবারের মধ্যে নদীর থেকে বেশির ভাগ সামগ্রী সরানো সম্ভব হবে। যত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে, তার তুলনায় সাফাই কর্মী সংখ্যা কম বলে অভিযোগ।

বালাসন

খুব একটা বিসর্জন হয় না এই নদীতে। কিন্তু, যে কয়েকটি প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে, তার কাঠামো পড়েই আছে। নদীতে বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে প্রচুর এঁটো থার্মোকলের প্লেট, গ্লাস, বাটি-সহ নানা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। তার উপরে নদীর বুকে নানা জায়গা থেকে ভেসে এসে জমে রয়েছে থার্মোকলের বাক্স। এলাকাবাসীরা জানান, পঞ্চায়েত কিংবা জেলা প্রশাসনের তরফে বালাসনকে বাঁচাতে পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হয়েছে।

সাহু

শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে সাহু নদীতেও পরিত্যক্ত কাঠামো-সহ নানা আবর্জনা থেকে দূষণ বাড়ছে। আমবাড়ি ও লাগোয়া এলাকার বেশ কয়েকটি পুজোর বিসর্জন হয় এখানেই। কিন্তু, ভাসানের পরে কাঠামো তুলে ফেলার কোনও ব্যবস্থা সাহু নদীতে নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেরই ক্ষোভ, শিলিগুড়িতে নদী থেকে কাঠামো তোলার পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। অথচ বহুবার বলা সত্ত্বেও সাহু নদীকে দূষণ মুক্ত করতে কেউ উদ্যোগী হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের।

অন্য বিষয়গুলি:

Pollution River Immersion River Pollution
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE