প্রতীকী ছবি।
রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগর এলাকায় গুলি করে এক মহিলাকে খুন ও তাঁর দুই ভাই বোনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শীতল রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর স্ত্রী সুপর্না বিশ্বাস ও শ্যালক গোপালকৃষ্ণ বিশ্বাসকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে মেঘালয়ের নংপো থানা এলাকার রাস্তার ধারের একটি ধাবা থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে।
ধৃত তিন জনেরই বাড়ি রায়গঞ্জের কাশিবাটী এলাকায়। ধৃতদের কাছ থেকে ভাড়া করা একটি ছোট গাড়ি, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ ২ লক্ষ ১২ হাজার ৫৫০ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পেশায় বিএসএফ কনস্টেবল শীতল, সুপর্না ও গোপালকে শনিবার রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে তোলে পুলিশ। বিচারক মোনালিসা মণ্ডল শীতল ও গোপালকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত ও সুপর্নাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত ওই তিন জন ছোট গাড়ি করে রায়গঞ্জ থেকে পালিয়ে মেঘালয় হয়ে অন্যত্র পালানোর ছক করেছিলেন। পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনায় বাকি অভিযুক্ত শীতলের বাবা স্বপন রায় ও মা নমিতা রায়-সহ অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, শীতল ও গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরশ বর্মা বলেন, “ধৃতদের জেরা করে ঘটনার তদন্ত চলছে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর রাতে দেবীনগর এলাকায় নিখিলকুমার মজুমদারের বাড়ির সামনে তাঁর দুই মেয়ে দেবী সান্যাল, রূপা অধিকারী ও ছেলে সুজয়কৃষ্ণ মজুমদারের সঙ্গে শীতল, শীতলের দিদি জয়শ্রী, শীতলের স্ত্রী সুপর্না, শীতলের বাবা স্বপন ও মা নমিতা ও তাঁদের পরিচিত দুই ব্যক্তির সঙ্গে বচসা বাঁধে বলে অভিযোগ।
এরপরেই দেবী, সুজয়কৃষ্ণ ও রূপাকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দেবীর। গুলিতে জখম হন সুজয়কৃষ্ণ ও রূপা। ওই ঘটনার পর জয়শ্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, প্রাক্তন ভাড়াটে সুজয়কৃষ্ণর পরিবারের সঙ্গে বাড়ির মালিক নিখিলকুমারের পরিবারের পুরনো বিবাদের জেরে দেবী ও তাঁর দুই ভাইবোনের উপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত অজ্ঞাত পরিচয় দু’জনের মধ্যে একজন ধৃত গোপাল বলে পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy