Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Darjeeling Tea

দার্জিলিং চা বাঁচাতে দ্রুত ‘ল্যাব’ চায় আইটিএ

রাজ্যে নেপাল তথা বাইরের চা ঢোকা নিয়ে উদ্বেগ চলছেই। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নেপাল এবং অসমের চা দার্জিলিঙের বলে বিক্রি হচ্ছে বলে চিন্তার কথা জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

দার্জিলিং চায়ের বাগান।

দার্জিলিং চায়ের বাগান। —ফাইল চিত্র।

সৌমিত্র কুন্ডু
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:৪৯
Share: Save:

দার্জিলিং চা বাঁচাতে বাইরের চা এদেশে ঢোকার আগে গুনমান পরীক্ষা করতে সরকারি তরফে টেস্টিং ল্যাবরেটরি তৈরির সিদ্ধান্তে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (টিবিআইটিএ) তরাই ব্রাঞ্চ আশাবাদী। ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি, অসম সীমানার ওই ল্যাব তৈরির কথা রয়েছে। শুক্রবার বাগডোগরা লাগোয়া বেঙডুবিতে সংগঠনের বার্ষিক সভা হয়। সেখানে সরকারি ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

ন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা বলেন, ‘‘দার্জিলিং চা কে বাঁচানো খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টিং ল্যাবরেটরি করাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে প্রকল্প কী ভাবে কার্যকর করা হলে তার উপর সাফল্য নির্ভর করবে।’’ তাঁর সংযোজন, খাদ্য নিরাপত্তা আইনে ৫০টি রাসায়নিক দেখতে পরীক্ষা হয়। বাইরের চা নেপাল, কেনিয়া যেখান থেকেই আসুক তা সেই ভাবেপরীক্ষা দরকার।

রাজ্যে নেপাল তথা বাইরের চা ঢোকা নিয়ে উদ্বেগ চলছেই। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নেপাল এবং অসমের চা দার্জিলিঙের বলে বিক্রি হচ্ছে বলে চিন্তার কথা জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের একাংশ দার্জিলিং চা বলে সে সব বাজার জাত করে তার সুনাম নষ্ট করছে বলে অভিযোগ। চা উৎপাদনকারীদের দাবি, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১.৩ মিলিয়ন কেজির মতো চা এসেছে নেপাল থেকে। এক বছরের হিসাব ধরলে সেটা ১৩-১৪ মিলিয়ন কেজি দাঁড়াবে। অথচ দার্জিলিং চা উৎপন্ন হয় প্রায় ৫.৯৩ মিলিয়ন কেজি। তাতে স্পষ্ট কী ভাবে দার্জিলিং চায়ের নাম করে বাইরের নিম্নমানের চা বিক্রি করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার বলে দাবি করেন সংগঠনের তরাই শাখার নতুন চেয়ারম্যান দেব মল্লিক।বাগান মালিকদের দাবি, প্রথম এবং দ্বিতীয় ফ্লাশে ৩৫-৪০ শতাংশ দার্জিলিং চা উৎপন্ন হয়। তা রফতানিকারকরা কেনে। বাকি ৬০ শতাংশ বিক্রি হয় দেশের বাজারে। দার্জিলিং চা তৈরি করতে অন্তত ৬০০ টাকা প্রতি কেজিতে খরচ হয়। অথচ বাইরের ১০০-১৫০ টাকা কেজি চা পাতা দার্জিলিংয়ের চা বলে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে শ্রম দফতর উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার শ্যামল দত্ত বলেন, ‘‘সরকারের তরফেবেশ কিছু টেস্টেং ল্যাবরেটরি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

টিবিআইটিএ-র নতুন চেয়ারম্যান এদিন জানান, চা উৎপাদনের ৫০ শতাংশ এখন ক্ষুদ্র চা বাগান থেকে আসে। গত বছর তরাই ডুয়ার্সে উৎপাদন কমেছে ৭-৮ শতাংশ। শুরুতে দাম বাড়লেও শেষে দাম কমে।

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Tea Association
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy