মাছে-ম্যাচ: শনিবার শিলিগুড়ির বাজারে খুব সামান্যই মিলেছে গলদা। ইলিশ অবশ্য মিলেছে সস্তাতেই। ছবি দু’টি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।
ডার্বির উত্তেজনায় ভরপুর দুই শহর। কিন্তু ইলিশের বাজারে ছবি ঠিক উল্টো। মাছের দাম নিয়ে দুই শহরের ডার্বিতে জলপাইগুড়ি টেক্কা দিয়েছে শিলিগুড়িকে। জলপাইগুড়িতে বিক্রি হয়েছে খুব ভাল, শিলিগুড়িতে খদ্দেরদের আশায় হাপিত্যেশ করে বসে আছেন দোকানিরা।
কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এ দিন সকাল থেকেই উৎসাহীদের ভিড়। শিলিগুড়ির লোকজন তো ছিলেনই, জলপাইগুড়ি থেকেও অনেকে যান প্রিয় দলের প্র্যাকটিস দেখতে। কয়েক জন সমর্থকের হাতে ইলিশও দেখা যায়। আবার মোহনবাগান কর্তাদের পাত আলো করে এ দিন ছিল ডাব চিংড়ি। মাছ ব্যবসায়ীরা কিন্তু এতে বিশেষ সন্তুষ্ট নন। তাঁরা বলছেন, ‘‘এই মাতামাতি যদি বাজারের সাধারণ-ক্রেতার মধ্যেও থাকত, তা হলে আরও খুশি হতাম।’’
শিলিগুড়ির বিধানমার্কেটের বক্তব্য, ‘‘ইলিশ-চিংড়ি দুইয়েরই চাহিদা কম।’’ একই কথা নিয়ন্ত্রিত বাজার, চম্পাসারি বাজারেও। এই তিন বাজারে এ দিন দেড় কেজির ইলিশের দাম ছিল ১৫৫০-১৬০০ টাকা কেজি। সাতশো গ্রাম ইলিশের দাম ছিল ৮০০-৮৫০ টাকা কেজি। চাহিদা থাকলে বড় ইলিশের দাম দু’হাজার ছাড়িয়ে যেত। চিংড়ির বেলাতেও তিন বাজারে গলদার দাম কোথাও সাড়ে পাঁচশো ছাড়ায়নি।
জলপাইগুড়ির বাজারে কিন্তু ইলিশের বেলায় উল্টো ছবি। শহরের দিনবাজারে এ দিন ইলিশ ছিল ৮০০-১২০০ টাকা কেজি। এবং তা বিকিয়েছে হু হু করে। চিংড়ির দাম ছিল কেজি প্রতি ৫০০-৬০০ টাকা। কিন্তু দিনবাজারের মাছ ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ শাহ বলেন, ‘‘সকালের দিকে বাজারে চিংড়ি মোটামুটি ছিল৷ কিন্তু দ্রুত তা শেষ হয়ে যায়৷’’
তবে শনিবার পাতে প্রিয় দলের মাছ না পড়লেও রবিবার তা হাতেই স্টেডিয়ামে ঢুকতে চাইছেন জলপাইগুড়ির সমর্থকেরা। বলছেন, ‘‘সঙ্গে প্রতীক না থাকলে চলবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy