ছবি: প্রতিনিধিত্বমূলক।
বিজয় মিছিল থেকে ছর্রা গুলি ছোড়ার অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালুবস্তি এলাকার ঘটনা। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল সমর্থকদের দিকে। গুরুতর জখম এক জন।
আহত ব্যক্তির নাম মহম্মদ ফজিল। থাকেন কালুবস্তিতে। তিনি নিজেকে ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী-পন্থী তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দল সমর্থক বলে দাবি করেছেন। ফজিলের ভাইপো জুবের আলম নির্দল হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। এই করিম-পন্থী নির্দল গোষ্ঠী কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ছর্রা গুলি ছোড়ার অভিযোগ তুলেছেন।
আহত ফজিল এখন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নেমেছে পুলিশ বাহিনী।
২০১৬ সালে ইসলামপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে করিমকে হারিয়েছিলেন কানাইয়ালাল। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর তৃণমূলে যোগদানের পর পরই দল ছেড়ে নিজের দল তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন করিম। ২০১৯ সালে ইসালমপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রায়গঞ্জ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী হন কানাইয়ালাল। তাঁর ছেড়ে দেওয়া ইসলামপুর বিধানসভা আসনে ফের তৃণমূল প্রার্থী হন করিম। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে সে বার তৃণমূলে ফিরেছিলেন তিনি। ২০২১ সালেও ইসালামপুর বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। যদিও মন্ত্রিসভায় তিনি জায়গা পাননি।
গত কয়েক মাস ধরে দলের প্রতি বিমুখ করিম। জনসংযোগ যাত্রার মাঝে ইটাহারে অভিষেকের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বিধায়কদের দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বিধানসভায় উপস্থিত হন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন করিম। ইসলামপুরে দলীয় কোন্দলে এক সিভিক ভলান্টিয়ার খুনের ঘটনায় দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। আবার ইসলামপুর ব্লকের সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার পরেও দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন। এ বার পঞ্চায়েত ভোট গণনার দিন কানাইয়ালাল গোষ্ঠীর দিকে আঙুল তুললেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy