—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাধ্যমিকের প্রথম দিন, শুক্রবার শিলিগুড়ি শহরে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির সামনে যানজটে জেরবার হল পরীক্ষার্থীদের একাংশ। পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের সামনে বইয়ে চোখ বুলিয়ে নেওয়ার সময় পিছন থেকে গাড়ি, মোটরবাইকের হর্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের সামনে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিভাবকেরা। এমনকি, পরীক্ষা শুরুর পরেও বহু কেন্দ্রের সামনে বাস, গাড়ির হর্নের আওয়াজে উত্তরপত্র লিখতে গিয়েও সমস্যায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা।
অন্য বছর পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে ব্যারিকেড লাগিয়ে সেখান দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শুরুর প্রায় ঘণ্টা দেড়েক আগে, থেকে ট্র্যাফিক পুলিশের তৎপরতা নজরে পড়ে। যদিও এ বছর সে সব কিছুই ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে দিয়ে যান চলাচল করেছে। বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বাসগুলির চলাচলের জেরে অনেক কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষা শুরুর আগে ব্যাপক যানজট ছিল।
এ দিন সুভাষপল্লিতে নেতাজি গার্লস স্কুলের সামনে ব্যাপক যানজট হয়। স্কুলের সামনে নেতাজি সুভাষ রোড হয়ে একের পরে এক স্কুলবাস, গাড়ি, টোটোর যাতায়তের জেরে যানজট হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে শুরু করলেও ট্র্যাফিক পুলিশ আসেনি। শেষে, কেন্দ্রের সামনে কয়েক জন অভিভাবক যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। ৯টার পরে সেখানে ট্র্যাফিক পুলিশ আসে। এর পরে, রাস্তার দু’দিকে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িগুলিকে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বাপি দে নামে এক অভিভাবকের কথায়, “সকাল থেকে স্কুলের সামনে যানজট ছিল। বাসগুলির জন্য স্কুলের সামনে রাস্তায় দাঁড়ানো যায়নি। অনেক পরে ট্র্যাফিক পুলিশ এসেছে। পরীক্ষার দিনগুলিতে ট্র্যাফিক পুলিশ আরও সক্রিয় হলে ভাল হয়।”
একই অবস্থা ছিল পানিট্যাঙ্কি মোড়ের কাছে রামকৃষ্ণ সারদামণি বিদ্যাপীঠের সামনে। সেখানেও স্কুলের সামনে বাস, বাইক, গাড়ি চলাচলের জেরে যানজট ছিল। পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, “ট্র্যাফিক পুলিশ কর্মীদের বিষয়টি দেখতে বলা হবে। পরীক্ষার সময় যাতে বাসগুলি অন্য রাস্তায় চলাচল করে, তা দেখা হচ্ছে।”
তবে কিছু জায়গায় পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশকে। ডাবগ্রামে জগদীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠে পরীক্ষা দিতে এসে এক পড়ুয়া অ্যাডমিট কার্ড ভুলে যায়। বিষয়টি জানার পরে, এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী চন্দন গুরুং নিজের বাইকে পড়ুয়াকে সন্তোষীনগরে বাড়িতে নিয়ে যান। অ্যাডমিট নেওয়ার পরে, পড়ুয়াকে ফের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগরে বাস চলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন চার পরীক্ষার্থী। দু’জনকে একটি বাসে তুলে দেন এক পুলিশকর্মী। এর পরে, আরও দুই পরীক্ষার্থীকে নিজের বাইকে করে মুরলিগঞ্জ হাইস্কুলে পৌঁছে দেন এএসআই জনার্দন যাদব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy