ফের জাপানি এনসেফ্যালাইটিসে (জেই) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল কোচবিহার জেলায়। শুক্রবার তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতে চামটায় মারা যান রবি দাস (৬৩)।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই নিয়ে তুফানগঞ্জে জেই-তে চামটা এলাকায় মৃত্যু হল দুজনের। গত ৯ অগস্ট জেই-তেআক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অখিমা বেওয়ার (৬০)। দু’জনেরই বাড়ি তুফানগঞ্জের চামটা এলাকায়। শুক্রবার এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একই জায়গার দু’জনের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলা জুড়েই। অন্যদিকে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তুফানগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃদুল রায়। তাঁর চিকিৎসা চলছে নিজের বাড়িতেই।
রবিবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ই অগস্ট মঙ্গলবার তাঁর জ্বর এসেছিল। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধও খাওয়ানো হয় তাঁকে। তবে জ্বর না সারলে তাঁকে শুক্রবার তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে রেফার করেন কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল। সেখানেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি দেখে তাঁর পরিবারের তরফে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পরিবারে আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ফের তাঁকে কোচবিহার হাসপাতালে। সেখানে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে শুক্রবার ভোরে মারা যান রবি। তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক মসিউর রহমান জানান, জেই-তে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অসম বাংলা সীমান্তে এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। আমরা যৌথভাবে সচেতনতামূলক প্রচার করছি। এ ছাড়াও আশা কর্মী এবং রিসোর্স পার্সনদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।’’
জেই-তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর ছড়াতেই এলাকায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু ও জেই নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪১। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। শুক্রবার রবি দাসের মৃত্যু নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো সাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy