গত দু’দিন ধরে উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে বিএসএনএলের মোবাইল, ব্রডব্যান্ড ও ল্যান্ডফোন পরিষেবা মাঝেমধ্যেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সমস্যায় পড়েছেন জেলার বিএসএনএলের প্রায় চার লক্ষ গ্রাহক। শুধু সাধারণ গ্রাহকেরাই নয়, পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার জেরে কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুরে পুর নির্বাচনের মুখে সমস্যায় পড়েছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কর্তারা। নিগমের দু’দিনের কর্মী ধর্মঘটের পরেও পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের এত সময় লাগছে কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিএসএনএলের জেলা টেলিকম ম্যানেজার রবি কুমার জানান, গত মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে জেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক মোবাইল টাওয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১২ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার জেরে বেশির ভাগ টাওয়ারের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায়। এক বার কোনও ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হলেও প্রযুক্তিগত কিছু কারণে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে।
বিএসএনএল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলা ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টির পরে জেলাজুড়ে বিএসএনএলের মোবাইল, ব্রডব্যান্ড ও ল্যান্ডফোন পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ পরিষেবার আংশিক স্বাভাবিক হলেও বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে ফের পরিষেবা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ দিন সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ফের পরিষেবা আংশিক স্বাভাবিক হলেও জেলাজুড়ে বিএসএনএলের গ্রাহকদের অনেকেরই মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকায় ফোন করতে পারেননি। ল্যান্ডফোন ও ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও বিপর্যস্ত ছিল। জেলাশাসক রণধীর কুমার ও জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা জানান, পুরসভা নির্বাচনের মুখে বিএসএনএলের সমস্ত পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় প্রশাসনিক, আইনশৃঙ্খলাজনিত কাজকর্ম পরিচালনা করতে অসুবিধা হয়েছে। পরিষেবা বিপর্যস্ত থাকায় বিভিন্ন ব্যাঙ্কে লিঙ্ক ছিল না। ফলে গ্রাহকেরা অপেক্ষা করেও টাকা লেনদেন করতে না পেরে ফিরে আসেন। পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy