—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘প্রথম ফ্লাশ’-এর চায়ের উৎপাদন কমল প্রায় দু’কোটি কেজি। চা পর্ষদের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আট কোটি কেজি চা ‘প্রথম ফ্লাশ’-এ হয়েছিল। এ বছর সেটা কমে হচ্ছে প্রায় ছয় কোটি কেজি। ‘প্রথম ফ্লাশ’-এর পাতার উৎপাদন যে কমতে চলেছে, তা চা মহল আগেই টের পেয়েছিল। প্রতিটি বাগানে পাতার পরিমাণ কমছিল। মরসুমভিত্তিক উৎপাদনে স্বাদ এবং গন্ধের নিরিখে ‘প্রথম ফ্লাশ’-এর কদর বেশি। আবহাওয়ার খামখেয়ালেই ‘প্রথম ফ্লাশ’-এর এই ক্ষতি বলে দাবি চা শিল্পের সঙ্গে যুক্তেরা। ‘দ্বিতীয় ফ্লাশ’-এর শুরুটা ভাল হলেও, বর্তমানে উত্তরবঙ্গের চা মহল্লায় নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতেও ক্ষতি হচ্ছে চা পাতার।
চা পর্ষদের প্রকাশিত মে মাসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে মে মাসে এ রাজ্যে চায়ের উৎপাদন হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি কেজি। গত বছর এই মাসে যা ছিল প্রায় সাড়ে তিন কোটি কেজির মতো। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন মার খেয়েছে ডুয়ার্সে, কমেছে প্রায় ৭০ লক্ষ কেজি। শীতের সুখা মরসুমের পরে, চা পাতা তোলা শুরু হয় মার্চ থেকে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত চা গাছে যে পাতা আসে সেটা ‘প্রথম ফ্লাশ’। পুরো ‘প্রথম ফ্লাশ’-এ চলতি বছরে রাজ্যে ঘাটতি থেকে গেল অনেকটাই। এ ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছে ডুয়ার্সের উৎপাদন, প্রায় এক কোটি কেজি। দার্জিলিং চায়ের উৎপাদন কমেছে প্রায় ৩০ লক্ষ কেজি।
শীতের পরে, ভাল মানের চা পাতা পেতে বৃষ্টি প্রয়োজন। এ বছর বসন্তে বৃষ্টিই হয়নি। বহু কারখানা বন্ধ হয়ে ছিল। মে মাসেই ছোট বাগানের উৎপাদন কমেছে প্রায় ৪০ লক্ষ কেজি। ছোট চা বাগানের সর্বভারতীয় সংগঠনের (সিস্টা) সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “বিপুল ক্ষতি হল। বিকল্প চাষের পদ্ধতি প্রয়োগ করলে, ভবিষ্যতে চা শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব হবে কিনা সে প্রশ্ন থাকছে।” চা বাগান পরিচালকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডুয়ার্স শাখার চেয়ারম্যান জীবনচন্দ্র পাণ্ডে বলেন, “প্রথম ফ্লাশে বৃষ্টির অভাবে পাতার উৎপাদন মার খেয়েছে, এখন অতিরিক্ত বৃষ্টিতে উৎপাদন কমছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy