Advertisement
E-Paper

সেরার স্বপ্ন নকশালবাড়ি ফার্মের

রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা ‘কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ (সিএডিসি) তথা সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের শিলিগুড়ি নকশালবাড়ির এই ফার্ম।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP

নীতেশ বর্মণ

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫ ০৯:১৪
Share
Save

পুকুর, ফল, ফুলের বাগান ঘেরা ফার্ম। ঘুরলে মনে হয় যেন ছায়া ঘন শান্ত নীড়। সরকারি এই ফার্মে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাজ করছেন। শিলিগুড়ি নকশালবাড়ির এই ফার্ম এখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে পথ দেখাচ্ছে এলাকার বহু মহিলাদের। তাদের ঘুড়ে দাঁড় করানোর পাশাপাশি রাজ্য রাজ্যেকেও আয় দিচ্ছে ফার্মটি। গত বছর রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সেরা ফার্ম হিসাবে বিবেচিত হয়েছে নকশালবাড়ির প্রকল্পটি। সেই লক্ষ্যে এ বারও ঝাঁপিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা।

চাষআবাদ, পশুপালনের সঙ্গে সেখানে উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করে লাভের মুখ দেখাচ্ছে তারা। রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা ‘কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ (সিএডিসি) তথা সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের শিলিগুড়ি নকশালবাড়ির এই ফার্ম। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে তারা। যেখানে ফসল উৎপাদন থেকে পশু পালনের প্রশিক্ষণ মেলে। এখানকার উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করে রাজ্যের আয় বৃদ্ধিতেও সহায়ক হয়েছে এই ফার্মটি।

সাতভাইয়াতে কয়েক একর জমিতে রয়েছে প্রকল্পটি। কর্তৃপক্ষের দাবি, ড্রাগন, কিউই, অ্যাভোকাডো থেকে দার্জিলিং সমতলে পরীক্ষামূলক নানা নতুন চাষ শুরু এখান থেকেই। সেখানকার আধিকারিকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় মহিলারা সবলম্বী হচ্ছেন। জাপানের বিখ্যাত মিয়াজাকি আমের চাষ শুরু হয়েছে সেখানে। তা এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হচ্ছে বলে দাবি। তাঁদের নতুন সংযোজন ভ্যানিলা চাষ। সফল হলে উত্তরবঙ্গের সমতলে প্রথম ভ্যানিলা চাষের সফল উৎপাদন হতে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা।

প্রকল্পের আধিকারিকেরা জানান, গত বছর ৩২ লক্ষ টাকা আয় করেছে প্রকল্পটি। এ বার সেই লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়িয়েছে তারা। সেটাও পূরণের পথে বলে দাবি। তা ছাড়া উন্নত মানের সুপারি, লেবু, ড্রাগন ফ্রুট থেকে বিভিন্ন চারা বিক্রিও হয়। উন্নয়ন প্রজাতির হাঁস, মুরগি প্রজনন করেও আয় করা হয়, সরকারি নিয়মে মাঝেমধ্যে বিলিও হয়।

ইতিমধ্যে রাজ্য এবং জেলা প্রশাসনের ভিন্ন স্তরের আধিকারিকেরা এলাকায় পরিদর্শনে যান। সেই কারণে ডেপুটি ডাইরেক্টর মুস্তাক হোসেন সর্বসাধরণের জন্য ফার্মটি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। রাস্তার ধারে স্টল তৈরি করে ফার্মে চাষ হওয়া বিভিন্ন ফল, ফুল এবং চারা, কড়কনাথের ডিম, হাঁস, মুরগির বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। ফার্মে রাতে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে তদারকির জন্য প্রয়োজন লোকবলের। রাজ্যস্তরে তা জানানোও হয়েছে। কর্মী নিয়োগ হলে পর্যটকদের জন্যও খুলে যেতে পারে।

শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রকল্পের উন্নয়নে আমরা পাশে রয়েছি। আরও কী করে ফার্মের উন্নয়ন হবে আলোচনা করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Self reliance naxalbari

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}