শোক: মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে বাড়ির লোক। নিজস্ব চিত্র
এক কিশোরীর মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির এনজেপি থানার নেপালি বস্তির ফাপড়ি এলাকায়। ম়ৃতার নাম প্রীতি রায় (১৭)। শিলিগুড়ি রথখোলা এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরী নেতাজিনগর গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
ওই কিশোরীর বাবা তপন রায়ের অভিযোগ, মেয়ের বন্ধুরা তাঁর মেয়েকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে খুন করেছে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাজেশ দাস নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি গৌরব লাল বলেন, ‘‘মেয়েটির মারা যাওয়ার কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
প্রীতির বাবা তপন রায় পেশায় বাসের কনডাক্টর। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়েকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে খুন করেছে ওর বন্ধুরা। দোষীদের চূড়ান্ত শাস্তি চাই।’’ মৃত কিশোরীর মা কল্পনাদেবী শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমের কর্মী। তাঁর দাবি, ‘‘সোমবার বিকেলে মেয়ের বন্ধুরা ওকে ঘুরতে নিয়ে যায়। এরপর রাতে মেয়ের এক বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায় সে অসুস্থ। তা শুনে নেপালি বস্তির ফাপরি এলাকায় একটি বাড়িতে গিয়ে দেখি মেয়েকে একটি কাঁথা গায়ে দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে।’’
রাত সাড়ে এগারোটায় বন্ধুদের সহযোগিতায় প্রীতিকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। পরে রাত দে়ড়টা নাগাদ মারা যায় প্রীতি।
যে বাড়িতে প্রীতিকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল সেই বাড়ির গৃহকর্ত্রী জ্যোৎস্না রায় বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ তিনজন ছেলে ও একটি মেয়ে আমার বাড়িতে এসে জানায় ওদের মোটরবাইক দুর্ঘটনায় পড়েছে। মেয়েটি তখন জিনসের প্যান্ট ও একটি টপ পড়েছিল। এরপর খবর দেওয়ার পর মেয়েটির বাড়ির লোকজন এসে মেয়েটিকে নিয়ে যায়।’’
ফাপড়িতে দুর্ঘটনার পর এলাকার বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার আগেই প্রীতিকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তার বাড়ির লোক। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রীতি নিজেই স্কুটি চালাচ্ছিল, স্কুটির পিছনে তার বন্ধু বসেছিল। নেপালিবস্তির কাছে ফাপড়ি টার্নিংয়ের কাছে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটিটা নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির পিলারে ধাক্কা মারে। তখনই মাথায় চোট পায় প্রীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy