বার করে আনা হচ্ছে দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
বহু দিন আগে প্রতিবেশীকে ৪০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন প্রদীপ মজুমদার। কোচবিহার পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে শ্যামাপ্রসাদ পল্লির বাসিন্দা প্রদীপ মঙ্গলবার পাওনা সেই টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীর বাড়ি। এর পর রহস্যজনক ভাবে ওই প্রতিবেশীর বাড়ির সিঁড়ির ঘর থেকে উদ্ধার হল ঊনষাট বছরের প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে প্রদীপের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন গোপাল গোস্বামী এবং তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা। অভিযোগ, সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না তাঁরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে যান প্রদীপ। প্রদীপের দাদা দিলীপ মজুমদারের অভিযোগ, টাকা আদায় করতে গেলে তাঁর ভাইকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে আমার ভাইকে টাকার জন্য ঘোরানো হচ্ছিল। এমনকি, আমিও ওই পারিবারের কাছে টাকা পাই। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ শর্মিষ্ঠা ফোন করে আমাকে বাড়িতে আসতে বলেন। ওঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখি সিঁড়ির ঘরে ভাইয়ের দেহ ঝুলছে।’’
অন্য দিকে গোপাল বলেন, ‘‘সন্ধ্যা নাগাদ টাকার জন্য আমাদের বাড়িতে আসেন প্রদীপ। আবার ফিরেও যান। রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ বাইরে বেরোতে গিয়ে দেখি সিঁড়ির ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। কী করে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে আমরা কিছুই জানি না।’’ গোপাল স্বীকার করছেন, প্রদীপ তাঁদের ৪০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁরা ১৬ হাজার টাকা দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আত্মহত্যা না হত্যা তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy