মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা। — ফাইল চিত্র।
জামশেদপুরের কাছে খারাপ গোল খেয়ে ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে আবারও একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামছে মোহনবাগান। মঙ্গলবার চেন্নাইয়িন এফসি-র সঙ্গে খেলবে তারা। সেই ম্যাচ থেকেই জয়ে ফিরতে চান মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা। তবে দলের ফুটবলারেরা ক্লান্ত এটা মানতে চাইলেন না কিছুতেই।
শুক্রবার ম্যাচের পর শনিবার ফুটবলারদের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। রবিবার থেকে অনুশীলন নেমে পড়েছে মোহনবাগান। সোমবার আরও একটি অনুশীলনের পর তারা উড়ে যাবে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে। তার আগে মোলিনা জানালেন, জামশেদপুর ম্যাচ ড্র হলেও ছেলেদের পারফরম্যান্সে তিনি গর্বিত। মোলিনার কথায়, “এক দিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হল। ছেলেদের বলেছি, আমি ওদের খেলায় গর্বিত। আগের ম্যাচে গোল করতে পারিনি ঠিকই। তবে পারফরম্যান্সের দিক থেকে মরসুমের অন্যতম একটা সেরা ম্যাচ ছিল।”
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছে মোহনবাগান। তার খেসারত দিতে হয়েছে দু’পয়েন্ট হাতছাড়া করে। জামশেদপুরকে হারানোর সুযোগ থাকলেও পারেনি মোহনবাগান। তবে মোলিনাকে সেটা নিয়ে চিন্তিত দেখায়নি। বলেছেন, “আমি চিন্তায় নেই। ওরা সুযোগ পেলে যদি গোল করতে না পারে তখন চিন্তা করব। যদি সুযোগই না পায় তা হলে চিন্তার কী আছে? গোল ঠিকই আসবে। আমি নিশ্চিত পরের ম্যাচে ওরা সুযোগ পাবে এবং গোল করবে।”
এ দিন মূলত রিহ্যাব করেছে মোহনবাগান। এক দিন বিশ্রামের পর খেলোয়াড়েরা শারীরিক জড়তা কাটিয়েছেন। পরে ফিটনেস ট্রেনিং এবং সিচুয়েশন প্র্যাকটিস হয়েছে। সাহাল সামাদকে এ দিনও সাইডলাইনে দেখা গিয়েছে। চেন্নাইয়িন ম্যাচেও হয়তো তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই। মোলিনা বলেছেন, “সাহাল আজ অনুশীলন করেনি। অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। কাল দেখব ও খেলার মতো অবস্থায় রয়েছে কি না। আশিক কুরুনিয়নের ক্ষেত্রেও একই জিনিস বলব।”
জামশেদপুর ম্যাচের শেষের দিকে মোহনবাগানের অনেক খেলোয়াড়কেই ক্লান্ত দেখিয়েছে। চেন্নাইয়েও গরমের মধ্যে খেলতে হবে। সেখানে ফুটবলারেরা আরও ক্লান্ত হতে পারেন। এটা নিয়ে কি কিছু ভেবেছেন? প্রসঙ্গ উঠতেই মোহনবাগানের কোচ আচমকা মেজাজ হারালেন। এমনকি প্রশ্নকর্তাকে ‘ইস্টবেঙ্গল সমর্থক’ বলতেও দ্বিধা করেননি।
মোহনবাগান কোচ ক্লান্তির প্রসঙ্গ উড়িয়ে বলেছেন, “আমার দলের খেলোয়াড়েরা সবচেয়ে বেশি গোল করেছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে আমরা আট পয়েন্টে এগিয়ে। তার পরেও বলছে আমরা ক্লান্ত? চেন্নাইয়ের আবহাওয়ায় দুটো দলকেই খেলতে হবে। শুধু একটা দলই ক্লান্ত হবে কেন? দুটো দলই হবে। আমার দলের একজন-দু’জন ক্লান্ত হয়ে পড়তেই পারে। কিন্তু গোটা দলটা কখনওই একসঙ্গে ক্লান্ত হবে না। আমি একটুও চিন্তা করছি না।”
দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচের মাঝে খুব বেশি প্রস্তুতির সময় পাচ্ছে না মোহনবাগান। মাত্র দু’বার অনুশীলন করতে পারবে তারা। মোলিনা বলেছেন, “এক দিনের প্রস্তুতি কখনওই যথেষ্ট নয়। পাঁচ-ছ’দিন পেলে ভাল হত। তবে মাঝেমাঝে এ রকম পরিস্থিতির সামনে পড়তেই হয়। তবে খুব একটা সমস্যা নয়। কারণ কী ভাবে খেলতে হবে সেটা জানি। যে কাজ করছি সেটাই করতে হবে। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধেও বাকি ম্যাচের মতো সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy