আততায়ীদের গুলিতে গত ২ জানুয়ারি নিহত হন দুলাল সরকার। —ফাইল চিত্র।
মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনের ১৭ দিনের মাথায় আরও এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ আসরার। ২২ বছরের ওই যুবকের বাড়ি বিহারের পূর্ণিয়ার বাইসি থানা এলাকায়।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ইংরেজবাজারের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল ওরফে বাবলাকে যে চার জন গুলি করেন, তাঁদের মধ্যে এক জন এই আসরার। তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় আগেই সাত জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। অষ্টম ব্যক্তিকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য পাওয়ার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারের মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের ছোড়া একাধিক গুলিতে নিহত হন দুলাল। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে বিহারের বাসিন্দা মহম্মদ সামি আখতার, আব্দুল গনি এবং ইংরেজবাজারের টিঙ্কু ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাকে। নরেন্দ্রনাথ মালদহ শহরের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। নরেন্দ্রনাথ গ্রেফতার হতেই তৃণমূল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। নরেন্দ্রনাথ এবং স্বপনই তৃণমূল নেতা দুলালকে খুনের ‘মূল চক্রী’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়ে খুন করানো হয় দুলালকে। এর পর তৃণমূল নেতার খুনের তদন্তে সিট গঠন করে পুলিশ। জানা যায়, দুলালকে খুনের জন্য মোট চার ‘শুটার’ গিয়েছিলেন অকুস্থলে। আসরার তাঁদের মধ্যে এক জন। এই মামলায় অভিযুক্ত আরও কয়েক জন পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে।
অন্য দিকে, দুলালকে খুনের পরে দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি। এর আগে আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় নিহতের স্ত্রী তৃণমূলের পুর প্রতিনিধি চৈতালী ঘোষ সরকার দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে খুনের পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy