গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেটরক্ষক হিসাবে জায়গা করে নিয়েছেন ঋষভ পন্থ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অবিবেচকের মতো শট খেলে বার বার সমালোচিত হলেও তাঁকেই দলে নেয় ভারত। শোনা যাচ্ছে, সঞ্জু স্যামসনকে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন কোচ গৌতম গম্ভীর, যা মানা হয়নি। কোচ প্রথমে চেয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্যকে সহ-অধিনায়ক করতে। সেটা পারেননি। দ্বিতীয় লড়াই ছিল তাঁর সঞ্জুকে নিয়ে। সেটাতেও হার গম্ভীরের। সঞ্জু এবং পন্থের মধ্যে পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়ে কে?
২০২২ সালের পর থেকে
২০২২ সালের পর পন্থ একটি মাত্র এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। গাড়ি দুর্ঘটনার পর ক্রিকেটে ফিরে ভারতের জার্সিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। অন্য দিকে, সঞ্জু ২০২৩ সালে ভারতের হয়ে পাঁচটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একটি শতরান এবং একটি অর্ধশতরান করেছিলেন সঞ্জু।
এক দিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে
এক দিনের ক্রিকেটে কখনওই নজর কাড়তে পারেননি পন্থ। ভারতের হয়ে ৩১টি এক দিনের ম্যাচ খেলে মাত্র একটি শতরান করেছেন তিনি। তাঁর সংগ্রহ ৮৭১ রান। পন্থের গড় ৩৩.৫০। সেখানে সঞ্জু ১৬টি ম্যাচে ভারতের হয়ে ৫১০ রান করেছেন। তিনিও একটি শতরান করেছেন। সঞ্জুর গড় ৫৬.৬৬। অর্থাৎ, দুই উইকেটরক্ষকের মধ্যে পরিসংখ্যানের বিচারে ভারতের জার্সিতে এগিয়ে কেরলের ক্রিকেটার। তবুও দল বেছে নিয়েছে দিল্লির পন্থকে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে পন্থ বনাম সঞ্জু
পন্থের বয়স ২৭ বছর। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন দিল্লির হয়ে। ৩০ বছরের সঞ্জু খেলেন কেরলের হয়ে। লিস্ট এ ক্রিকেটে ৬৭টি ম্যাচ খেলেছেন পন্থ। করেছেন ১৭৮৯ রান। গড় ৩১.৯৪। পন্থ মাত্র দু’টি শতরান করেছেন। সেখানে সঞ্জু লিস্ট এ ক্রিকেটে খেলেছেন ১২৮টি ম্যাচ। করেছেন ৩৪৮৭ রান। তিনটি শতরান করেছেন সঞ্জু। গড় ৩৩.৮৫।
কেন দলে পন্থ?
এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসাবে রয়েছেন লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসাবে সঞ্জুকে চেয়েছিলেন গম্ভীর। সঞ্জু বরাবরই গম্ভীরের পছন্দের ক্রিকেটার। তিনি কোচ হওয়ার পর ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে ধারাবাহিক ভাবে সুযোগ পাচ্ছেন সঞ্জু। রানও করেছেন। কিন্তু অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের পছন্দ পন্থ। গম্ভীরের যুক্তি, গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পরে আবার ক্রিকেটে ফিরে মাত্র একটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন পন্থ। পাল্টা রোহিতেরা যুক্তি দেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে সঞ্জুও এক দিনের ম্যাচ খেলেননি। পাশাপাশি বিজয় হজারে ট্রফিতে না খেলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সঞ্জু। শেষ পর্যন্ত পন্থের নামেই সিলমোহর পড়েছে। অর্থাৎ, নিজের পছন্দের এক ক্রিকেটারকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে পাননি গম্ভীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy