Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Murder

গাড়ি রেখে অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে অপেক্ষা, রায়গঞ্জে পরিকল্পনা করেই খুন, সন্দেহ পুলিশের

দেবীনগরে নিখিলকৃষ্ণ মজুমদারের বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই হাজির হয়েছিলেন অভিযুক্ত রিপন ও পাপন রায়ের দিদি জয়শ্রী দাস।

ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে বুলেট

ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে বুলেট নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:২৭
Share: Save:

একই পরিবারের তিন জনকে গুলি করে খুন! কিন্তু কেন? পুলিশ বলছে, পারিবারিক কোনও সমস্যার কারণেই হয়তো গুলি চলেছিল উত্তর দিনাজপুরের দেবীনগরে। হামলার আগে পরিকল্পনা করে, কার্যকারণ সন্ধান করেই এসেছিল আততায়ী। সোমবার সন্ধ্যায় ঠিক কী ঘটেছিল? ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্থানীয় মানুষ, প্রতিবেশীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটা ছবি তৈরি করতে চেয়েছে পুলিশ। যা থেকে অনুমান, পাকা মাথায় পরিকল্পনাতেই এই হামলা হয়েছে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবীনগরে নিখিলকৃষ্ণ মজুমদারের বাড়িতে সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎই হাজির হয়েছিলেন অভিযুক্ত রিপন ও পাপন রায়ের দিদি জয়শ্রী দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রিপনের স্ত্রী। নিখিলের বাড়ির আয়া জানিয়েছেন, জয়শ্রী এসে এক দফা চেঁচামেচি করেন। কিছু ক্ষণ পর তিনি ফিরে গিয়ে শীতল রায় ওরফে পাপনকে ফোনে ওই গোলমালের খবর দেন। এর পর পরিকল্পনা করেই সঙ্গীদের নিয়ে নিখিলের বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে গাড়ি রাখেন পাপন। জয়শ্রী ও রিপনের স্ত্রী আবারও নিখিলের বাড়ির সামনে এসে চেঁচামেচি শুরু করেন। নিখিলের বাড়িতে তখন ছিলেন তাঁর ছেলেমেয়েরা— দেবী সান্যাল, রূপা অধিকারী ও সুজয়কৃষ্ণ মজুমদার। তাঁরা চেঁচামেচি শুনে নেমে আসতেই চলে গুলি। গুলি চালিয়ে পাপন ও তার দলবল গাড়ি চেপে চলে যায় বলে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি।

পুলিশের অনুমান, পাপন পরিকল্পনা করে এসেছিল। তাই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজের হার্ড ডিস্ক সে সরিয়ে ফেলেছিল গা ঢাকা দেওয়ার আগেই। এ ছাড়া খুনে ব্যবহৃত পিস্তল যথেষ্ট আধুনিক মানের বলেই পুলিশের ধারণা। তবে তা বেআইনি অস্ত্র হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। স্থানীয়দের বক্তব্য শুনে তদন্তকারীদের ধারণা, রিপন ও পাপন দুই ভাই এই গুলি-কাণ্ডে জড়িত। ওরা দু’জনেই বিএসএফ জওয়ান।

ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত হওয়ায় পিছনেও দু’টি কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। হয় কোনও রকম অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে গোলমাল অথবা দুই পরিবারের মধ্যে কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন। দ্বিতীয়টি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। জয়শ্রী গুলি চলার সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন। তাঁর ভাই পাপনই যে গুলি চালিয়েছে, সে কথাও তিনি স্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE