মাসির বাড়িতে যাওয়ার পথে এক নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার রাত ১০টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার থানার দুর্লভপুর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে বলে নির্যাতিতা কিশোরী ও তার পরিবারের লোকেদের দাবি।
সোমবার রাতে ওই কিশোরীর মা পুলিশের কাছে অভিযুক্ত যুবক আরমান আলির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি, একই অভিযোগপত্রে আরমানের বাবা সহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই কিশোরীকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ! সেখানেই এ দিন তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
ইটাহার থানার ওসি নিমশেরিং ভুটিয়ার দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে! অভিযুক্তরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে অভিযুক্ত আরমানের সঙ্গে তার পূর্ব পরিচিতি রয়েছে। অতীতে আরমানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও পুলিশের দাবি। প্রায় এক বছর আগে ওই সম্পর্কের কথা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এরপরেই সামাজিক লজ্জায় ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে প্রেমের ভেঙে যায়। প্রায় ছয় মাস আগে আরমান দিনমজুরের কাজ করতে ভিন রাজ্যে চলে যায়। কিছু দিন আগে আরমান বাড়ি ফেরেন। ওই কিশোরীর দাবি, রবিবার রাতে এলাকায় একটি জলসার অনুষ্ঠান ছিল। এক বান্ধবীকে নিয়ে সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওইদিন ওই বান্ধবী তার মাসির বাড়িতে ছিল। রাত ১০টা নাগাদ বান্ধবীকে আনতে হেঁটে মাসির যাচ্ছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার একটি পুকুরের ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে আরমান পিছন থেকে তাকে জাপটে ধরে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে পুকুরের ধারে একটি পরিত্যক্ত বেড়ার ঘরে নিয়ে গিয়ে আরমান ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই কিশোরীর চিত্কারে আরমানের বাবা পেশায় চাষি মহিদুর রহমান সেখানে গিয়ে ওই কিশোরীকে মারধর করে কাউকে ঘটনার জানালে তাকে খুনের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। ওই কিশোরীর দাবি, সেই সময় তার দাদা ওই এলাকা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। তার চিত্কারে দাদা সেখানে ছুটে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
ওই কিশোরীর মায়ের দাবি, ‘‘মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ও তার উপর হামলার আতঙ্কে অভিযোগ জানাতে দেরি হল। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছি।’’
যদিও আরমান ও সহিদুরের দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরে তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy