শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিডের সময় আসার সুযোগ হয়নি। ২-৩ মাস আগে কার্শিয়ঙে এসেছিলাম। দু’বছর পরে এলাম দার্জিলিঙে।’’ সভায় বেশ কয়েকটি রাস্তা, হস্টেলের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে তিন লক্ষ ৮০ হাজার চা শ্রমিকের নতুন বাড়ি হয়েছে। ২১ লক্ষ বিধবাকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।’’
পাহাড়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
দার্জিলিঙে প্রশাসনিক সভায় একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন প্রতিশ্রুতি। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে বললেন, ‘‘দিল্লির লাড্ডু খাবেন না। দার্জিলিঙের লাড্ডুই যথেষ্ট।’’
শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কোভিডের সময় আসার সুযোগ হয়নি। ২-৩ মাস আগে কার্শিয়ঙে এসেছিলাম। দু’বছর পরে এলাম দার্জিলিঙে।’’ সভায় বেশ কয়েকটি রাস্তা, হস্টেলের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পাহাড়ে তিন লক্ষ ৮০ হাজার চা শ্রমিকের নতুন বাড়ি হয়েছে। ২১ লক্ষ বিধবাকে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ১০ লক্ষ পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।’’ কেউ যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না পেয়ে থাকেন তবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সাহায্য নিতে বলেন তিনি।
এ ছাড়াও পাহাড়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘পাহাড়ে একটি হিল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। এ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হল জিটিএ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করা। সে কারণে তিনি সোমবার চার দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। মঙ্গলবারও সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দার্জিলিঙে খুব তাড়াতাড়ি জিটিএ নির্বাচন হবে।’’ ভাষণে বিজেপি-কে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দার্জিলিং যখন হাসে তখন একটি দল এসে ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়ে যায়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এরা বাংলাকে ভালবাসে না। আগুন জ্বালিয়ে এরা বাংলার বদনাম করতে চাইছে।’’
প্রসঙ্গত, এ বারের পুরভোটে দার্জিলিঙে কার্যত কোণঠাসা হয়েছে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবির যাতে আবার পাহাড়ে জমি শক্ত করতে না পারে তার জন্য মঞ্চে সরাসরি নাম করে তোপ দেগেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের সমালোচনা করেন বলেন, ‘‘এরা পেট্রল-ডিজেল-গ্যাস-কেরোসিনের দাম বাড়াচ্ছে। বাংলাকে এরা কেউ ভালবাসে না। খালি অশান্তি পাকিয়ে দাম বাড়ানো ভুলিয়ে দাও। এটাই ওদের পলিসি।’’
মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ইউক্রেনের প্রসঙ্গ এনে বলেন, ‘‘১৭ হাজার পড়ুয়া ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছে। দেশে ওদের পড়া শেষ করার ব্যবস্থা হোক। এর জন্য রাজ্যকে অনুমতি দেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy