সফরে: কপ্টার থেকে নামার পরে, জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: সন্দীপ পাল
সোমবার দিনভর শিলিগুড়ি ও লাগোয়া এলাকা জুড়ে রইল কুয়াশা। দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। এর মধ্যে সাত সকালে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ও ঠান্ডাও পড়ে। মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় কুয়াশা বেশি ছিল। এমন আবহাওয়ার জেরে বেলা বাড়লেও রাস্তাঘাটে লোকজন কম ছিল। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা বদলায়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন বাগডোগরা থেকে ৩১টি বিমানের ওঠানামার কথা ছিল। কিন্তু সকালে দৃশ্যমানতা কম থাকায় কলকাতাগামী একটি বিমান বাতিল হয়। বিমানটি বাগডোগরা নামতে না পেরে ঘুরে চলে যায়। এর পরে বিকালে ৪টের পর আরও একটি কলকাতা এবং একটি মুম্বইয়ের বিমান বাতিল হয়েছে। কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর একাধিক বিমান দেরিতে চলাচল করেছে। বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘তিনটি বিমান বাতিল হয়েছে। খারাপ আবহাওয়াই এর অন্যতম কারণ।’’
এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিমান অবশ্য দুপুরে সঠিক সময়েই আসছে। তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে জলপাইগুড়ি চলে যান। সরকারি সূত্রের খবর, প্রথমে আবহাওয়া দেখে সড়ক পথে মুখ্যমন্ত্রীকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ঠিক হয়। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়। কিন্তু রাস্তার কয়েক জায়গার বেহাল দশা, আমবাড়ি হাটবার, সময়ের কথা চিন্তা করে হেলিকপ্টার নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা হয়। শেষে, আড়াইটের পর হেলিকপ্টার নামানো-ওঠানো নিয়ে পাইলট সুবজ সঙ্কেত দেন।
বিকেলের পর থেকে ফের ঠান্ডা বাড়তে থাকে। সোমবার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। গত রবিবার রাত থেকেই দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের উপর ওই ঝঞ্ঝা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করে মেঘ সঞ্চার করছে। তবে এই পরিস্থিতি সমতলেই মূলত থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। সোমবার যেমন সকাল থেকেই শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় কুয়াশা ছিল। ছিঁটেফোটা বৃষ্টির পর দিনের তাপমাত্রা নামে। এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্র ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। আজ, মঙ্গলবারও তাই থাকার কথা। দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
কুয়াশার জেরে বিমান ও যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আধিকারিকরা জানান, তার জেরে দৃশ্যমানতা কমে আসবে। মঙ্গলবার কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘দু’দিন পর ঝঞ্ঝা সরতে পারে আশা করছি। মেঘ কাটলে দিনের তাপমাত্রা বাড়বে, তবে রাতের তাপমাত্রা নামবে এবং শীত অনুভূত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy