Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
নবান্নে সভা মুখ্যমন্ত্রীর
Rabindranath Ghosh

রাজস্ব বৃদ্ধি নিয়ে ভর্ৎসনা রবীন্দ্রনাথকে

রাজস্ব বৃদ্ধি নিয়ে কোচবিহারে দীর্ঘদিন ধরেই হইচই চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই দফায় কোচবিহারে এসে স্পষ্ট জানান, রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে না।

কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ০৭:৪৮
Share: Save:

রাজস্ব বৃদ্ধি নিয়ে এ বার নবান্নের সভা থেকেও কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ নবান্নে রাজ্যের পুরসভার চেয়ারম্যান ও আধিকারিকদের নিয়ে সভা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রবীন্দ্রনাথও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ হওয়ার আগে কোচবিহার প্রসঙ্গ আসে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘হঠাৎ করে রবি ঘোষ কোচবিহারে ঘোষণা করলেন ট্যাক্স বাড়ানো হল! তুমি কে ভাই ট্যাক্স বাড়ানোর? সরকারের অনুমতি ছাড়া, কোনও ট্যাক্স বাড়বে না।’’

সেই সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার কর্তাদের জানিয়ে দেন, সরকারের অনুমতি ছাড়া, কোনও রাজস্ব বৃদ্ধি হবে না। রবীন্দ্রনাথ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে। কোচবিহারে ট্যাক্স বৃদ্ধির জন্য সমীক্ষা করেছিল রাজ্য ভ্যালুয়েশন বোর্ড। সেখানে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। মুখ্যমন্ত্রী সেটাই বলেছেন।’’

রাজস্ব বৃদ্ধি নিয়ে কোচবিহারে দীর্ঘদিন ধরেই হইচই চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই দফায় কোচবিহারে এসে স্পষ্ট জানান, রাজস্ব বৃদ্ধি করা হবে না। অভিযোগ, তার পরেও রাজস্ব বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুরসভার খসড়া বাজেটেও তা উল্লেখ করা হয়। সে সময়ে পুরপ্রধান জানিয়েছিলেন, সাধারণ

মানুষের উপরে নতুন করে কোনও রাজস্ব বসছে না। কিন্তু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উপরে ভ্যালুয়েশন বোর্ড সমীক্ষা করে কর ধার্য করবে। নির্বাচনের পরে, ওই বিষয়ে কাজ শুরু হবে। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে সমীক্ষা হয়নি। তাতে পুরসভা ক্ষতির মুখে পড়ছে।

এ নিয়ে কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতি আন্দোলনে নামে। ভোটের আগে মে মাসে তা নিয়ে কোচবিহারে ব্যবসা বনধ্ পালন করেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফুটপাতের ব্যবসায়ী থেকে বড় দোকান সব ক্ষেত্রেই বহু গুণ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বছরে দেড় হাজার টাকার কিছু উপরে কর নেওয়া হত, তা এখন তিরিশ হাজার টাকার উপরে হয়েছে। নামজারির ক্ষেত্রেও বহুগুণ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার পুরসভা এলাকায় প্রচুর ভোটে পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব খুশি নন। ভোটে পিছিয়ে পড়ার জন্য রাজস্ব বৃদ্ধির অভিযোগও একটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো এর আগেও রাজস্ব বৃদ্ধি হবে না বলে ঘোষণা করেছিলেন। কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। হয় পুরপ্রধান মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে আমল দেন না। নয়তো পুরোটাই লোকদেখানো।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy