ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে উত্তরের জেলাগুলোতে নজর রাখার জন্য গৌতম দেবকে নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারই ভোটে প্রথম বার হেরেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম। কিন্তু হার-জিতের কথা না ভেবে তাঁকে উত্তরের সংগঠন, দল এবং নিজের কাজে বেশি করে এ বার মন দিতে বলেছেন নেত্রী। প্রথমে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে দার্জিলিং জেলার সংগঠন পরিচালনায় পরামর্শ ছাড়া শিলিগুড়ি শহরে নিজেদের শক্তিশালী করার দায়িত্বও থাকছে এ বার তাঁর ঘাড়ে। ভবিষ্যতে উত্তরের জেলাগুলি ছাড়াও পুরভোটে শিলিগুড়ি জয়ই যে এ বার তৃণমূলের লক্ষ্য, তা পরিষ্কার।
শনিবার কলকাতার ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে শুধু গৌতমই ছিলেন। আর একটি বৈঠকে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী ছিলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলীয় শাখা সংগঠন স্তরে রদবদলের পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের মতো প্রবীণ নেতাদের কাজের ধরনের প্রশংসা করতে গিয়ে নেত্রী গৌতমের কথাও উল্লেখ করেছেন। তাঁকে আলাদা করে কাজের নির্দেশ তখনই দিয়ে দেন। এর আগেও গৌতম দলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
গৌতম দেব অবশ্য এ সব নিয়ে কোনও সময়ই বিশেষ কিছু বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘নেত্রী যখন যা নির্দেশ দেন পালন করি। আর বৈঠকর কথা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা আলোচনা করার জন্য নয়।’’
দলীয় সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল লোকসভার তুলনায় কিছুটা ভাল ফল করলেও গৌতম, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সৌরভ চক্রবর্তী, উদয়ন গুহের মতো নেতারা হেরে গিয়েছেন। সরকার গঠনের কয়েকদিনের মধ্যেই গৌতমকে শিলিগুড়ির পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের মাথায় বসানোর নির্দেশ পাঠানো হয়। তাতেই স্পষ্ট, গৌতমের প্রশাসনিক ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে চাইছে সরকার। ভবিষ্যতে শিলিগুড়ি পুরভোটে তাঁর নেতৃত্বেই দল লড়াই করতে চলেছে। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। রামভজন মাহাতো, কমল আগরওয়ালের মতো বাম নেতা এবং সীমা সাহার মতো কংগ্রেস নেত্রীকে দলে নিয়ে দুর্বল ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূল শক্তি বাড়ানো শুরু করেছে।
আলিপুরদুয়ারেও দার্জিলিং জেলার মতো কোনও আসন পায়নি তৃণমূল। জলপাইগুড়তে লোকসভার তুলনায় ভাল ফল হয়েছে। এই দু’টি জেলাতেই দলকে শক্তিশালী করতে গৌতমের নেতৃত্বে কাজ করতে বলেছেন। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সেই কাজ চলবে। ইতিমধ্যে আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং জেলা সমতলে সংগঠনের রদবদলের ইঙ্গিত রয়েছে শীর্ষস্তরে। পিকের টিমের রিপোর্ট এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। বিশেষ করে বিধানসভা ভোটের আগে, সময়ে কোনও জেলার নেতা কী ভূমিকা পালন করেছেন তা দেখা হচ্ছে। পরাজিত প্রার্থীদের মতামতও জেলা স্তরে নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy