Advertisement
E-Paper

স্বাধীনতার পরে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বাস বালুরঘাটে

রবিবার সকাল থেকেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন সুকান্ত-জায়া। সকালে স্নান, পুজো সেরে মাছের ঝোল রান্না করেন। এ দিন সকাল ৯ টা নাগাদ সুকান্তের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়।

সুকান্ত মজুমদার।

সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।

অনুপরতন মোহান্ত

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৪ ০৯:১৫
Share
Save

দুই মেয়েকে নিয়ে দিল্লিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাওয়ার খুবই ইচ্ছে ছিল কোয়েল চৌধুরী মজুমদারের। রবিবার দুপুর পৌনে একটা নাগাদ বালুরঘাটের বাড়িতে স্ত্রী কোয়েলকে ফোন করে মন্ত্রী হওয়ার খবরটা দেন সুকান্ত মজুমদার নিজেই। হাতে সময় না থাকায় দিল্লি যাওয়া হল না বলে আফসোস থাকলেও স্বামী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হ‌ওয়ার খবরে খুশি কোয়েল। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের স্বাধীনতার পর এই প্রথম বালুরঘাট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেল। এই আনন্দ শুধু আমার নয়। গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর।"

রবিবার সকাল থেকেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন সুকান্ত-জায়া। সকালে স্নান, পুজো সেরে মাছের ঝোল রান্না করেন। এ দিন সকাল ৯ টা নাগাদ সুকান্তের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়। সুকান্ত স্ত্রীকে ‘কিছু একটা হবে’ বলে ইঙ্গিতও দেন। ফের দুপুর পৌনে একটার সময় চূড়ান্ত খবরটা তিনি পান বলে কোয়েল জানান। সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হ‌ওয়ার খবরে খাদিমপুর মাস্টারপাড়া জুড়ে় খুশির হাওয়া। প্রতিবেশী মৃত্যুঞ্জয় সাহা বলেন, ‘‘ছোট থেকে ওকে বড় হতে দেখলাম। সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদান করায় আমরা সকলেই খুশি।’’ এ বার বালুরঘাট লোকসভা আসনে সুকান্ত মজুমদারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র। লড়াইটা কঠিন ছিল বলেই সকাল প্রচারে সুকান্ত দিন-রাত এক করেন। স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী কোয়েল‌ও সংসার ও দুই মেয়েকে সামলে স্বামীকে সাহায্য করতে শহরে প্রচারে নেমেছিলেন। এ দিন বিকেলে মাস্টারপাড়ার বাড়িতে স্বামীর অফিস কার্যালয়ে বসে কোয়েল জানিয়েছেন, রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে তাঁর নেই। তিনি বলেন, ‘‘সুকান্তকে রাজ্যের জন্য দরকার ছিল। তবে পূর্ণমন্ত্রী হলে কাজ করার বেশি সুযোগ পেতেন।’’ প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহজি অনেক অভিজ্ঞ। তাঁরা সব বুঝেই সুকান্তকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে তাঁর অভিমত।

এ দিন সন্ধ্যায় দলীয় সাংসদের মন্ত্রিত্বলাভের খবরে শহরের কল্যাণী মোড়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। পথে পথে গেরুয়া আবির মেখে, মিষ্টি বিলি করে বাজনার তালে ওই আনন্দ উৎসবে শামিল হন সুকান্ত-জায়াও। সুকান্তের মা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নিবেদিতা মজুমদার ছেলের মন্ত্রী হওয়ার খবরে খুশি। পাশাপাশি, দলে ক্রমশ দায়িত্ব বেড়ে যাওয়ায় চিন্তাও হয় বলে তিনি জানান। নিবেদিতা বলেন, ‘‘মন্ত্রী হয়ে বাড়ি ফিরলে ওই দিন সুকান্তর পছন্দের পটলের লতি দিয়ে সুক্তো ও ইলিশ মাছ রান্না করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Balurghat Sukanta Majumdar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}