দুর্গম: ভোটের নানা সামগ্রী বইছেন কুলিরা। প্রহরায় বন্দুকধারী বনকর্মীরা৷ সঙ্গে পুলিশও। বুধবার এ ভাবেই পাহাড়ের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার সান্তালাবাড়ি, বক্সাদুয়ার, চুনাভাটি ও আদ্যাপাহাড়ে থাকা একাধিক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছলেন ভোটকর্মীরা৷ বক্সাদুয়ারের এক ভোটকর্মীর কথায়, ‘‘এ দিন জীবনে একটা বড় অভিজ্ঞতা হল৷’’ ছবি: নারায়ণ দে
ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে মুহুর্মুহু অভিযোগে দিন কাটল কোচবিহারের। আর আলিপুরদুয়ারে সুরক্ষা বাহিনী নেই এমন বুথ রক্ষায় নিজেদের বাহিনীকে নজরদারি চালাতে বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
প্রথম দফার দুই আসনেই মূল লড়াই তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে। সেখানে টক্কর যে জোরদার হবে, তা মেনে নিচ্ছে সব দলই। কোচবিহারে যেমন কোথাও হল বোমাবাজি। কোথাও আবার কাপড় বিলির অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি গোলমাল বাধানোর ছক কষছে।
বস্তুত, এ দিন সব দলের প্রার্থীই ঘরে বসে তৈরি করলেন ভোটের দিনের ব্লু-প্রিন্ট। খোঁজ নিলেন কোথায় কী হচ্ছে। ঘন ঘন অভিযোগও জানালেন পর্যবেক্ষকদের কাছে। বিজেপির অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে একাধিক বুথে বোমাবাজি হয়, কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় দিনহাটার পেটলায়। একাধিক জায়গায় তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হয়ে ভয় দেখায় বিজেপি কর্মীদের। এদিন সকাল থেকে বাইক বাহিনী নাটাবাড়ি, দিনহাটা, সিতাই, শীতলখুচি এবং কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের একাধিক বুথে বিজেপির কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ফুলবাড়িতে ভোটারদের মধ্যে কাপড় বিলির চেষ্টা করে তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পাশের কেন্দ্র আলিপুরদুয়ারে বসে ভোটের দিনের ব্লু প্রিন্ট তৈরিতে ব্যস্ত যুযুধান দলগুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, এমন বুথে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দলের বুথ সুরক্ষা বাহিনীকে নজরদারিতে নামতে নির্দেশ দিল বিজেপি৷ পাল্টা তৃণমূলের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তাদের দলের কর্মী-সমর্থকরা গোটা জেলার প্রতিটি বুথে নজরদারি চালাবে। যুযুধান দুই প্রতিপক্ষের এই নির্দেশ ও পাল্টা নির্দেশকে ঘিরে প্রথম দফার নির্বাচনের আগে খানিকটা হলেও সরগরম আলিপুরদুয়ার জেলার রাজনীতি। আশঙ্কা রয়েছে গোলমালেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy