প্রস্তুতি: শুক্রবার হেলিপ্যাডে মহড়া হেলিকপ্টারের। চাঁচলে। নিজস্ব চিত্র
মাঠের উপরে পাক খাচ্ছে হেলিকপ্টার। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে চলছে এসপিজির তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে রঙের উৎসবকে ছাপিয়ে আরও বড় ‘উৎসব’-এর মহড়ায় সরগরম হয়ে উঠল মালদহের চাঁচল। শনিবার কলমবাগানে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধীর সভা। তার ২৪ ঘণ্টা আগে সকাল থেকেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
স্থানীয় আচার অনুযায়ী এক দিন পরে দোল উৎসব পালিত হয় চাঁচলে। কিন্তু শুক্রবার দেখা গেল সেই আনন্দ উৎসব উপেক্ষা করে সকাল থেকে মাঠ আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সভার নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে মাঠের দখল নিয়েছে এসপিজি। সারাদিন ধরেই হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থলে তল্লাশিতে ব্যস্ত ছিলেন এসপিজি আধিকারিকেরা। পাশাপাশি সকাল থেকে মাঠ ঘুরে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস, আইসি সুকুমার মিশ্র। দুপুরে হেলিপ্যাডে নেমে মহড়া দেয় হেলিকপ্টারও। তবে সভায় ভিড় নিয়ে কংগ্রেস আশাবাদী হলেও তাদের চিন্তায় ফেলেছে দোল। কেন না চাঁচল মহকুমার বহু এলাকায় শনিবারও দোল উৎসব পালিত হয়।
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘সভায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা। সভার সামনে ডি-জ়োনের নিরাপত্তায় থাকবেন এসপিজি কর্মীরা। প্রবেশপথ থেকে বাকি অংশে রাজ্য পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।’’
দলীয় সূত্রে খবর, কলমবাগান মাঠে দু’টি মঞ্চ থাকছে। রাহুলের মঞ্চ থেকে ৬০ মিটার দূরে রয়েছে আরও একটি মঞ্চ। রাহুলের মঞ্চে সব মিলিয়ে ২২ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে। আর অন্য মঞ্চটিতে থাকছে ৬০ জনের বসার ব্যবস্থা। রাহুলের মঞ্চে মূলত থাকবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পৃথক মঞ্চটিতে বসবেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্ব। রাহুলের মঞ্চের পিছনে ১০০ মিটার দূরে তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড। রাহুলের মঞ্চের সামনে থাকছে ভিভিআইপি ৫০০টি ও ভিআইপি ১০০০টি চেয়ার। দর্শক সহ প্রত্যেককেই ‘ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টর’ পেরিয়ে সভাস্থলে পৌঁছতে হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, মহকুমার ৬টি ব্লক থেকে অন্য যানবাহন ছাড়াও গড়ে ৫০০টি করে তিন হাজার ভুটভুটিতে দর্শকরা আসবেন। ফলে শনিবার শহরে কোনও যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ জন্য চাঁচলে ঢোকার ৬টি রাস্তার পাশে বাইরেই যানবাহন রাখার ব্যবস্থা থাকছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম, সভা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদাররা বলেন, ‘‘দোল উৎবের পরেই সবাই সভায় আসবেন। রেকর্ড ভিড় হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy