নেতা: মঞ্চে বক্তা রাহুল গাঁধী। করণদিঘিতে সভায় বুধবার। ছবি: সন্দীপ পাল
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্বপ্ন ছিল রায়গঞ্জে এমস তৈরির। বুধবার করণদিঘির নাগরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধীর নির্বাচনী জনসভায় সে কথা তুললেন উত্তর দিনাজপুরের মানুষই। রাহুল তাঁর বক্তৃতায় প্রয়াত সাংসদ প্রিয়রঞ্জনের নাম তুলতেই জনতা সেই প্রসঙ্গ তুলে রাহুলের কানে এমসের বার্তা পৌঁছে দিতে চিৎকার করে ওঠে—‘এমস চাই’। যা শুনতে পান রাহুলও। রাহুলের বুঝতে অসুবিধা হয়নি সবাই কী বলতে চাইছেন। তিনি মঞ্চ থেকে হাত নেড়ে বলেন, ‘‘আপনাদের এখানে এমস তৈরি করতে পুরো চেষ্টা করব।’’ যা শুনে হাততালিতে ফেটে পড়ে সভা।
রাহুল বলেন, ‘‘দীপা দাশমুন্সি রয়েছেন। আর এটা প্রিয়রঞ্জনের কর্মভূমি। তাঁর ঘরে এসেছি। তাঁর কর্মভূমিতে এসেছি। তাই তাঁকে স্মরণ করে যাব। তিনি আপনাদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। আপনাদের জন্য জীবন কাটিয়েছেন। তাঁকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমাদের প্রার্থীদের আপনারা সমর্থন করুন। হৃদয় থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’’
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রিয় ও দীপার পুত্র পুত্র প্রিয়দীপ ওরফে মিছিলও। রাহুল সভাস্থলে পৌঁছনোর আগে মিছিলও বক্তৃতা দিয়েছেন।
মিছিল বলেন, ‘‘আমার সৌভাগ্য যে আমি প্রিয়রঞ্জন এবং দীপার ছেলে। আপনারা আমার বাবাকে জিতিয়ে সাংসদে পাঠিয়েছেন। ২০০৯ সালে বাবার শরীর খারাপ হয়ে পড়ে। একজন নয় বছরের ছেলে বাবাকে যেটুকু বুঝতে পারে, সেটুকুই আমি পারতাম। কিন্তু আপনাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেক বেশি, অনেক দিনের। বাবার শরীর অসুস্থ হলে মা ভোটে দাঁড়ান। তাকে আপনারা সাংসদ করেছেন।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মিছিলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তৃণমূল আমাদের পরিবার ভেঙে ফেলতে চেষ্টা করেছে। আমার কাকাকে মায়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড় করান। ছোট বেলায় বাবা বলতেন, পরে মা বলেছেন, আমার পরিবারে আপনারা সবাই রয়েছেন। রায়গঞ্জের লোকই আমার পরিবার। রায়গঞ্জের লোকই আমাকে শক্তি দেয়। আপনাদের জন্য সব সময় লড়ব। ভবিষ্যতেও।’’
মিছিলের কথায়, ‘‘১৮ এপ্রিল ভোট। দেশের ভবিষ্যতের জন্য। আমি এবার প্রথম ভোট দেব। আমি তাকে ভোট দেব না, যিনি নোটবন্দি করে মানুষকে বিপাকে ফেলে দিয়েছেন। যিনি জিএসটি চালু করে ভাল ভাল কারবার নষ্ট করে দিয়েছেন। যাঁরা বিজেপির মতো করে ভাবেন না, তাঁদের মোদীর দল দেশদ্রোহী বলছে। এ সবের বিরুদ্ধেই আজ আপনাদের সামনে এসেছি।’’ শেষে মিছিল বলেন, ‘‘আপনারা সবাই আমার মাকে, কংগ্রেস পার্টিকে হাত চিহ্নে ভোট দেবেন। আমার বাবাকে ভোটটা দেবেন।’’ যে বক্তব্য শুনে সমর্থকেরা মেতে ওঠেন।
বিজেপি এবং তৃণমূল নেতারা অবশ্য মিছিলের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy