পাশাপাশি: যশপ্রকাশ ও সৈকত (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র
বন দফতরের হেফাজতে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার যশপ্রকাশ দেবদাস৷ এ দিন আদালতে লিখিতভাবে ওই অভিযোগ করেন এই ইঞ্জিনিয়ারের আইনজীবী৷ যার জেরে তদন্তকারী আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত৷ তবে আদালত অবশ্য এ দিন ফের তাকে ছ’দিনের জন্য বন দফতরের হেফাজতেই পাঠিয়েছে৷ যশপ্রকাশের দুই সঙ্গীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক৷
বিনা অনুমতিতে জঙ্গলে ঢুকে ড্রোন ও ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে গত ১৮ নভেম্বর ডুয়ার্সের বানারহাট রেঞ্জ থেকে যশপ্রকাশ দেবদাস-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে বন দফতর৷ বন দফতরের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার ধৃতদের ফের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়েছিল৷ এ দিন যশপ্রকাশের হয়ে সওয়াল করেন জলপাইগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর আইনজীবী সৈকত চট্টোপাধ্যায়৷
এ দিকে, তৃণমূল বোর্ড পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার আইনজীবী হয়েও বন দফতরের হাতে গ্রেফতার হওয়া ইঞ্জিনিয়ারের হয়ে সওয়াল করায় বিতর্ক বেধেছে৷ বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘যারা বন্যপ্রাণীদের ভালবাসে তারা কখনও এ ধরণের লোকের হয়ে সওয়াল করবেন না।’’ যদিও সৈকতবাবু বলেন, ‘‘আমি পেশাদার আইনজীবী। কেউ সুবিচার চাইলে তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করাটা আমার সাংবিধানিক অধিকার৷’’
তদন্তের স্বার্থে এ দিন শুধুমাত্র যশপ্রকাশকে ফের ছ’দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে বন দফতর৷ কিন্তু সৈকতবাবু এর বিরোধিতা করে আদালতে একটি আবেদন জমা দেন৷ তাতে তিনি অভিযোগ করেন, হেফাজতে থাকাকালীন গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের এডিএফও রাজু সরকার তাঁর মক্কেলকে মারধর করে৷ তা ছাড়া সাতদিন হেফাজতে রেখে কিছু ছবি ছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোন তথ্য পায়নি বন দফতর৷ ড্রোনের কথা বলা হলেও সেটা এখনও পাওয়া যায়নি৷ তাই তাঁকে জামিন দেওয়ার আবেদন করেন সৈকতবাবু৷ কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই তদন্তে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে৷ সেগুলি যাচাই ও ড্রোন খুঁজে বের করতে তাকে হেফাজতে নেওয়াটা জরুরি৷’’
শুনানিতে যশপ্রকাশের কাছে অত্যাচারের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান বিচারক। মৃন্ময়বাবু জানান, আদালতে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে যশপ্রকাশের উরুতে আঘাতের কথা বলা হয়েছে৷ যশপ্রকাশ নিজেও এডিএফও রাজু সরকার তাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন৷ তার জেরে তদন্তকারী অফিসারের থেকে একটি রিপোর্ট তলব করেছে আদালত৷ এডিএফও রাজুবাবু বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy