Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জমি নিয়ে টানাটানি

কর্মসংস্থানের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চাকরিপ্রার্থীদের ভরসা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র। শিলিগুড়িতে আইটি পার্ক থাকলেও তার পরিকাঠামো নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। কী বলছেন লগ্লিকারীরা। শুনল আনন্দবাজারমাটিগাড়ার পরিবহণনগরীতে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক। সেখানে দু’টি পর্যায়ের জন্য জমি দিয়েছিল এসজেডিএ। পার্কের ভিতরে এখনও প্রায় এক একর জমি রয়েছে।

এখানেই গড়ে ওঠার কথা চতুর্থ ভবনের। নিজস্ব চিত্র

এখানেই গড়ে ওঠার কথা চতুর্থ ভবনের। নিজস্ব চিত্র

শান্তশ্রী মজুমদার 
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৫
Share: Save:

উত্তরবঙ্গের শিল্প মানচিত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিকাশ যে সম্ভব সেই দাবি অনেকদিন ধরেই করে আসছে বণিকমহল। শিলিগুড়িতে ওয়েবেলের আইটি পার্ক রয়েছে। বণিকসভার তথ্য অনুসারে সেখানে তিনটি ভবনে রয়েছে পঞ্চাশেরও বেশি সংস্থা। কাজও করে কমবেশি আড়াই হাজার কর্মী। এই ব্যবসায় লগ্নির চাহিদা থাকলেও সেইমতো পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে না বলেই ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি। সম্প্রতি শহরে সিআইআই-এর উত্তরবঙ্গ শাখার একটি আলোচনা চক্রে উঠে এসেছিল এমনই কিছু বিষয়। সরকারের ঘোষিত নীতি অনুসারে শিলিগুড়িতে তথ্যপ্রযুক্তি পার্কের সম্প্রসারণের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে আরও একটি ভবন তৈরির কথা। কিন্তু তার জন্য জমি চিহ্নিত করতে গিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

মাটিগাড়ার পরিবহণনগরীতে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি পার্ক। সেখানে দু’টি পর্যায়ের জন্য জমি দিয়েছিল এসজেডিএ। পার্কের ভিতরে এখনও প্রায় এক একর জমি রয়েছে। কিন্তু সেখানে চতুর্থ ভবন তৈরি সম্ভব নয় বলেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। তাঁদের দাবি, আধুনিক মানের তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে যে সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার, তার কোনওটিই আগের ‘টাওয়ার’ বা ভবনে নেই। যদিও প্রশাসন চাইছে ওই জায়গাতেই কাজ সারতে। ওয়েবেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দ্বিতীয় টাওয়ারের (ফেজ টু) পাশেই আমরা চতুর্থ ভবন তৈরি করব বলে ঠিক করেছি। তবে প্রক্রিয়াগত কারণে একটু দেরি হচ্ছে।’’

সম্প্রসারণের প্রকল্পের জন্য আগে মৌখিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে এসজেডিএর তরফে পার্কের বাইরে ৩.৩৮ একর জমি চিহ্নিত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কাজ হবে কিনা তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। ওই পরিমাণ জমির দাম প্রায় ২৬ কোটি টাকা। ওই জমি কেনা হবে এমন কোনও প্রস্তাব এসজেডিএ পায়নি বলে সংস্থা সূত্রে দাবি। তাই পরিদর্শনও হয়নি। ২৮ নভেম্বর দফতর এবং ওয়েবেলের কর্তারা শহরে এলে এগুলি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, একটু বড় করে চতুর্থ পর্যায়ের পরিকাঠামো হলে আরও বেশি বিনিয়োগ আসবে, কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে। মাটিগাড়ার ওয়েবেলের আইটি পার্কের তিনটি ভবনে অন্তত আড়াই হাজার কর্মী কাজ করছেন। বিনিয়োগ এলে উত্তরবঙ্গের কর্মসংস্থানে জোয়ার আসবে বলে মনে করছেন ইচ্ছুক লগ্নিকারীরা। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরির টানাপড়েনে সেই সুযোগে ধাক্কা লাগবে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

অন্য বিষয়গুলি:

Land Problem Siliguri IT Park
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE