Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজবংশী পর্ষদ নিয়ে সতর্ক কেপিপি

সেই দাবিকেই কোণঠাসা করে দিতেই মাস খানিক আগে কোচবিহার সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের নিয়ে উন্নয়ন পর্ষদের ঘোষণা করেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

কোচবিহার
শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৭ ০২:৪১
Share: Save:

পাহাড়ের চলা গণ্ডগোলের মধ্যেই ‘রাজবংশী উন্নয়ন পর্ষদ’ গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত ৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান সচিব এস কে থাড়ে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে একাধিকবার উত্তাল হয়েছে কোচবিহার। সেই দাবিকেই কোণঠাসা করে দিতেই মাস খানিক আগে কোচবিহার সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের নিয়ে উন্নয়ন পর্ষদের ঘোষণা করেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। তাঁর সেই ঘোষণাকে তৃণমূলের রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতারা তো বটেই কামতাপুর পোগ্রেসিভ পার্টি থেকে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের স্বাগত জানিয়েছিলেন।

এদিন অবশ্য কেপিপি ওই বোর্ড নিয়ে তেমন উচ্ছ্বাস জানাননি। কেপিপি নেতা অতুল রায় বলেন, “দার্জিলিংয়ে তিনশো কোটি টাকা খরচ করে পনেরোটি বোর্ড তৈরি করেছিলেন রাজ্য সরকার। সেখানে এখনও গোর্খাল্যান্ডের দাবি ধূমায়িত হচ্ছে। তাই ওই বোর্ডের কাজ ঠিক কি হবে তা সবিস্তারে না জেনে আগাম কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” পাশাপাশি তিনি জানান, কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। সেদিকেই তাঁরা তাকিয়ে আছেন। গ্রেটার কোচবিহার নেতা বংশীবদন বর্মন বলেন, “উন্নয়ন পর্ষদের দাবি আমরাই করেছিলাম। সেই দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু বোর্ড যদি রাজনৈতিক পক্ষপাত করে বা সবার স্বার্থ দেখে কাজ করে তাহলে সার্বিক উন্নয়ন হবে না। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন ধরে রাজবংশী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য লড়াই করছে তাঁদের বোর্ডে রাখা উচিত।”

কোচবিহার জেলার সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজবংশী সম্প্রদায়ের নেতা বলে পরিচিত পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “গত ২৫ মে মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে ওই ঘোষণা করেন। এবারে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। আমরা খুব খুশি হয়েছি। এই পর্ষদের ফলে রাজবংশী সম্প্রদায়ের সব দিকে সার্বিক উন্নয়ন হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE