প্রতীকী ছবি
বিদায়ী চেয়ারম্যানের চেয়ার ফাঁকা রেখে তার পাশের চেয়ারে বসলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। তিনি বিদায়ী পুরবোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। সোমবার জলপাইগুড়ি পুরসভার দায়িত্ব নিল প্রশাসক বোর্ড।
তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার মেয়াদ ফুরনোয় যে প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেখানে জায়গা হয়নি বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসুর। জায়গা হয়নি বিদায়ী চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য পৌলমী সাহারও। টানা সতেরো বছর ধরে চেয়ারম্যান থাকা মোহন বসু প্রশাসক বোর্ড থেকে বাদ পড়ায় জেলা তৃণমূলের অন্দরে তরজা শুরু হয়েছে। মোহনের বাদ পড়ার বিরোধিতা করে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। সেই চিঠিতে বেশ কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলরও সই করেছেন। দলের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও সেই তালিকায় রয়েছেন বলে খবর। যদিও তৃণমূলের অন্য একটি অংশের দাবি, এ দিন প্রশাসক মণ্ডলী পুরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পরে নতুন করে আর কোনও রদবদল সম্ভব নয়।
প্রশাসকমণ্ডলী নিয়ে বির্তকের আবহেই আজ দুপুর বারোটা নাগাদ পুরসভায় এসে পৌঁছন বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। একই সঙ্গে আসেন সৈকত চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ মাহাতো, নিপু সাহা এবং বিশ্বজিত সরকার। পুরসভার আধিকারিকরা তাঁদের স্বাগত জানিয়ে সভাঘরে নিয়ে যান। সেখানেই কাগজে সই করে দায়িত্ব নেন তাঁরা। পাপিয়া পালকে আধিকারিকদের একাংশ সভাঘরের সাধা ধবধবে তোয়ালে জড়ানো যে চেয়ারে এতদিন মোহন বসু বসতেন তাতে বসার অনুরোধ করেন। পাপিয়া পাল সেই চেয়ারে না বসে পাশের চেয়ারে বসেন। সভার কাজ শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যানের জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে রাথা তোয়ালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে পুরসভার বোর্ড মিটিং রয়েছে। সেখানেই প্রশাসক বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দফতরের দায়িত্ব ভাগ হবে। নতুন চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল কোন ঘরে বসবেন তাও ঠিক হবে। তাঁকে না রেখে প্রশাসক বোর্ড গঠন নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন মোহন বসু। সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে পাপিয়া পাল এ দিন মন্তব্য করেননি।
দায়িত্ব নেওয়ার পরে পুরসভার সব কর্মীদের ডেকে পাঠায় নয়া প্রশাসকমণ্ডলী। দলীয় সূত্রে খবর, এ দিন জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর সঙ্গে প্রশাসক বোর্ডের সকলের কথা হয়েছে। আগামীকাল বোর্ড মিটিংয়ের আগে তাঁদের সঙ্গে জেলা সভাপতির বৈঠক হওয়ার কথা। স্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরসভার কাজকর্ম পরিচালনাকে অগ্রাধিকার দিতে জেলা সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
এ দিনই জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশাসক বোর্ড বা প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর বিরোধিতা করে মামলা করার কথা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy