স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে গত কয়েক মাস ধরে ঝামেলা চলছিল দম্পতির। —প্রতীকী চিত্র।
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। দল বেঁধে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তত ক্ষণে আর দেহে প্রাণ নেই ওই বধূর। পুলিশের কাছে নিজেই সেই খুনের বিবরণ দিলেন অভিযুক্ত। রবিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির ভক্তিনগর এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত এনজেপি থানার পশ্চিম ভক্তিনগর এলাকায় তিন সন্তান এবং স্ত্রী সুজাতা সিংহ বৈশ্যকে নিয়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন সুদীপ বৈশ্য। তাঁদের আসল বাড়ি কোচবিহারের সিতাইয়ে। বছর চারেক হল কাজের সূত্রে ওই ভাড়াবাড়িতে উঠেছিলেন দম্পতি। ২৫ বছরের ওই বধূ বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করতেন। অন্য দিকে, সুদীপ একটি দোকানের কর্মচারী।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে গত কয়েক মাস ধরে ঝামেলা চলছিল দু’জনের। সুপ্রিয়ার পরিবারও একই কথা বলছে। তাঁরা জানান, এ নিয়ে অশান্তি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, স্বামী ও স্ত্রী আলাদা থাকা শুরু করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় সুদীপ তাঁর সঙ্গে চার মহিলা এবং এক পুরুষকে নিয়ে স্ত্রীর কাছে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও কথাবার্তা ছাড়াই প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় সুপ্রিয়াকে৷ এর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে একের পর এক কোপ মারেন সুদীপ। পরে তাঁরাই আবার ধরাধরি করে সুপ্রিয়াকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে চলে যান। এই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন প্রতিবেশীরা।
অভিযোগ, হাসপাতালে যাওয়ার আগেই সুদীপের সঙ্গে থাকা ৫ জন চম্পট দেন। অন্য দিকে, চিকিৎসকেরা সুপ্রিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকেই খবর দেওয়া হয় শিলিগুড়ি থানায়। পুলিশের জেরায় সুদীপ খুনের কথা স্বীকার করেন বলে খবর। অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ এনজেপি থানার হাতে তুলে দেয়।
মৃতার দিদি সুজাতা সিংহ বলেন, ‘‘কয়েক মাস ধরে সুদীপের সঙ্গে বচসা চলছিল। আমার বোন পরকীয়ায় জড়িত, এই সন্দেহেই ওকে মেরে ফেলবে ভাবতে পারিনি। আমরা সুদীপের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy