ঝড়ের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে নিমেষের মধ্যে বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। নিজস্ব চিত্র
কয়েক মিনিটের ঝড়ে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকশ বাড়ি। ঝড়ের দাপটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর আশ্রমপাড়া এলাকা। জখম বেশ কয়েকজন। গুরুতর আহত দু’জন আলিপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্য দিকে আলিপুরদুয়ারে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে মারা গেলেন এক মহিলা।
বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে আচমকা ঝড় শুরু হয়। গাছ উপড়ে পড়ে বারোবিশা-রামপুর রাজ্য সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঝড়ের দাপটে উপড়ে পড়ে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। উড়ে যায় টিনের চাল।
রাত থেকেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে শুরু হয় উদ্ধারের কাজ। রামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে নিমেষের মধ্যে বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। বাড়ির সকলে আতঙ্কে রয়েছেন।’’ ঝড়ে তিনি ও তাঁর মেয়ে আহত হয়েছেন।
রামপুর ১ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত ঘোষ বলেন, ‘‘ঝড়ের পর ওই এলাকার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। রাতেই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’
ঝড় থেমে গেলে ঘটনাস্থলে যান তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু। তিনি এলাকা ঘুরে দেখে বলেন, ‘‘প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে গিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে যাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে।’’ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। যাঁদের বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে তাঁদের থাকার জন্য স্কুলে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।
এ দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ার জেলার এক বড় অংশ। ঝড়ের সময় চড়ক মেলা থেকে ফেরার পথে কামাক্ষ্যাগুড়ি সুপার মার্কেট এলাকায় গাছ চাপা পড়ে মারা গেলেন এক মহিলা। শিশু কোলে মেলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সুমতি দাস নামে ওই মহিলা। অচমকাই ঝড়ের মুখে পড়েন তিনি। পথে একটি গাছ তাঁর উপর ভেঙে পড়ে। কোলের শিশুটি কোনও মতে বেঁচে গেলেও মারা যান ওই মহিলা। ঝড়ে ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার ২, কুমারগ্রাম ব্লকের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy