অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বার করতে ধরপাকড় জারি দিল্লিতে। — প্রতীকী চিত্র।
অবৈধ ভাবে ভারতে বসবাস করার অভিযোগে আরও এক বাংলাদেশিকে বিতাড়ন করা হচ্ছে এ দেশ থেকে। কোনও বৈধ নথিপত্র ছাড়াই তিন বছর ধরে দিল্লিতে বাস করছিলেন তিনি। মহম্মদ শাহিদুল ইসলাম নামে ওই অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)-এর আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লিতে কোথাও কোনও অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন কি না, তা খুঁজে বার করতে গত ডিসেম্বরে একটি নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয়। তার পর থেকেই দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। শনিবারও পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ জন বাংলাদেশিকে বিতাড়নের কথা। দিল্লির একটি হোটেল থেকে তাঁদের পাকড়াও করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ দিকেও সাত জন বাংলাদেশিকে অবৈধ ভাবে এ দেশে থাকার অভিযোগে ভারত থেকে বিতাড়ন করা হয়েছিল।
শুধু দিল্লিতেই নয়, মহারাষ্ট্র থেকেও সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে জাল নথিপত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বেশির ভাগই ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে এ দেশে থাকতে শুরু করেছিলেন। কেউ অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে এ দেশে এসেছেন, আবার কেউ অন্য কোনও উপায়ে ভারতে এসেছেন। তবে পুলিশি অভিযানে তাঁদের কারও থেকেই ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। ধৃতদের মধ্যে অনেকেও এ দেশে জাল নথি দেখিয়ে ভুয়ো পরিচয়ে শ্রমিকের কাজে বা অন্য কোনও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
দিল্লির কোথায় কত অভিবাসী অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তার খোঁজে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে লাগাতার সেই অভিযান চলছে। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দলও। বিভিন্ন বস্তি এলাকা এবং শ্রমিক কলোনিতে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেই দল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy