Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
এক দিনে সংক্রমণে মহা লাফ দুই জেলার
Coronavirus

আক্রান্ত কত, সংখ্যায় জট, ধন্ধ 

সংখ্যা যাই হোক না কেন, প্রতিদিনই এ ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২০ ০৫:০৯
Share: Save:

উত্তর দিনাজপুর জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার রাতেও মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে জেলার কতজন বাসিন্দার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে শনিবার দিনভর চলে টানাপোড়েন। জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের মতে, ওইদিন জেলার ৩৪ জন বাসিন্দার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। তবে জেলা প্রশাসনেরই আরেকটি সূত্রের দাবি, ওইদিন রাতে জেলার ১৩ জন বাসিন্দার পজিটিভ রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রায়গঞ্জ ব্লকের দু’জন, ইটাহার ব্লকের পাঁচজন, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চারজন ও করণদিঘি এবং হেমতাবাদ ব্লকের একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন। যদিও সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সংখ্যা যাই হোক না কেন, প্রতিদিনই এ ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় চিন্তায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা হোয়্যাটসঅ্যাপে বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে জেলার কতজন বাসিন্দার করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে, তা হিসেব করে দেখা হচ্ছে।’’

তবে যদি ওইদিন ৩৪ জনের করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট এসে থাকে, তবে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৫৬ জনে। আর ১৩ জন হলে সেই সংখ্যা বেড়ে হবে ৩৫ জন।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের দাবি, শুক্রবার রাতে যাঁদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে, তাঁদের প্রায় দুসপ্তাহ আগে লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। তাই আইসিএমআরের নিয়ম মেনে চিকিৎসকেরা তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও হেমতাবাদ ব্লকের করোনা আক্রান্তদের রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, করোনায় আক্রান্তরা দিল্লি, মুম্বই, উত্তরপ্রদেশের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শ্রমিকের কাজ করতেন। সপ্তাহ দুয়েক আগেই তাঁরা বাড়ি ফেরেন। এরপরই জেলা স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে পাঠায়। এ বার এই শ্রমিকদের অনেকেই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের পরিবারের লোকজন ও আশপাশের বাসিন্দার মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

তাঁদের বক্তব্য, আক্রান্তদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁদের সরকারি কোয়রান্টিনে রাখা হলে এ ভাবে বিপদ বাড়ত না। তাঁদের দাবি, সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য দফতরের করোনা আক্রান্তদের দ্রুত কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। আর যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদেরও প্রথমে কোয়রান্টিনে রেখে, লালারস পরীক্ষার পরই হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হোক।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘জেলায় পর্যাপ্ত সরকারি কোয়রান্টিনের অভাব থাকায় বাইরে থেকে আসা সবাইকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কেবলমাত্র যাঁরা করোনার উপসর্গ নিয়ে জেলায় ফিরছেন, তাঁদেরই সরকারি কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy