প্রতীকী ছবি
মাসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। তাঁকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর স্বামীও ছিলেন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পরে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে নিয়ে যায় অভিযুক্তদের একাংশ। সেই সুযোগে ওই গৃহবধূকে কয়েক জন তুলে নিয়ে গিয়ে নির্জন এলাকায় গণধর্ষণ করে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা পুরাতন মালদহের বালিয়া নবাবগঞ্জ গুজরঘাট এলাকায়, মহানন্দা নদীর পারে।
বুধবার দুপুরে পুরো ঘটনা জানিয়ে মালদহ থানায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সেই গৃহবধূ। তাঁদের মধ্যে ৬ জনের নাম করে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশও। এক জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুজোর আগেই মালদহের নালাগোলাতে মামার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক যুবতী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার পুরাতন মালদহে মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হলেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছরের এই গৃহবধূর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা থানা এলাকায়। মঙ্গলবার ট্রেনে চেপে স্বামীর সঙ্গে মালদহ স্টেশনে নামেন ওই বধূ। তার মাসির বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের দুর্গাপুর গ্রামে। স্বামী-স্ত্রী অটো ধরে রাত দশটা নাগাদ নবাবগঞ্জ গুজরঘাটে আসেন। ওই বধূর দাবি, তারা যখন নদীর ঘাটে এসে পৌঁছন তখন খেয়া-পারাপার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে কারণে ঘাট থেকেই ফোন করে মাসিকে বিষয়টি জানাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সে সময় ওই নদী ঘাট সংলগ্ন একটি পাকা বাড়ি থেকে জনা দশেক যুবক বেরিয়ে আসেন। যাদের বয়স ২৫-৩০ বছরের মধ্যে। অপরিচিত দু’জনকে দেখতে পেয়ে ওই দলের কয়েক জন তার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা শুরু করে। এবং আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে স্বামীকে তাড়িয়ে রাতের অন্ধকারে অনেকটা দূরে নিয়ে যায়। আর এই সুযোগে দুই যুবক তাঁকে তুলে নদীর ঘাটের নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে জোর করে পরপর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
গৃহবধূর দাবি, তিনি চিৎকার করলে কিছু লোক ঘটনাস্থলে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে নদীর ওপার থেকে মাসির বাড়ির লোকজন এসে তাদের রাতে নৌকা পেরিয়ে মাসির বাড়ি নিয়ে যায়। বুধবার দুপুরে মালদহ থানায় এসে ৬ যুবকের নাম সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন।
বধূর স্বামী বলেন, ‘‘রাত দশটায় স্ত্রীকে নিয়ে এসে এমন অসহায় অবস্থায় পড়তে হবে, তা জানা ছিল না। না হলে মালদহ স্টেশন থেকে সরাসরি ইংরেজবাজার ব্লকের মধ্যে দিয়েই মাসির বাড়ি চলে যেতাম। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy