এক বধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল ৪ যুবকের বিরুদ্ধে। ইসলামপুর থানার রামগঞ্জের হিন্দু বেতবাড়ি এলাকাতে গত ১৯ তারিখ রাতে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর থানায় সেই অভিযোগ দায়ের করেন ওই বধূর পরিবারের লোকেরা। তবে ওই বধূ নিজে বলেছেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়নি। কিন্তু তাঁকে মারধর করা হয়েছে। ব্লেড দিয়ে শরীরে আঘাতও করা হয়েছে।
তাঁর পরিবারের লোকজনের অবশ্য দাবি, তাঁকে গণধর্ষণই করা হয়েছে। যদিও ওই বধূর স্বামী চৈতু মহম্মদ বলেন, ‘‘সে দিন রাতভর বাড়ি ফেরেনি স্ত্রী। সকালে পুলিশ জানিয়েছে স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গায়ের কাপড় পর্যন্ত নেই। আমাদের কোন শক্র নেই। তবে কেন তাকে মারধর করা হল, বুঝতে পারছি না। সেই কারণে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।’’
গত ১৯ জুন স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রাতে রামগঞ্জের ঢলুগছের বাসিন্দা ওই বধু বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তাঁর যাওয়ার কথা ছিল প্রধানের বাড়িতে। পথ ভুল করে অন্য রাস্তায় চলে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে একটি পাট খেতের মধ্যেই মারধর করে ধর্ষণ করে এক দল যুবক। শনিবার সকালে রাস্তার পাশে ওই বধূকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকেরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই বধুর স্বামী চৈতু মহম্মদ ইসলামপুর থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইসলামপুর থানার আইসি মুকসেদুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি ওই বধূ জানিয়েছেন, সে দিন স্বামীর সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল তাঁর। এরপরই সেটি বিচার করতে বলার জন্য এলাকার প্রধানের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। রাতের অন্ধকারে ভুল করে প্রধানের বাড়ির রাস্তার বদলে অন্য রাস্তায় চলে যান। সেখানে মদ্যপ এক দল যুবক তাঁকে মারধর করে। এমনকি সেই মারের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ওই বধূ বলেন, ‘‘আমি ভুল রাস্তা দিয়ে চলে গিয়েছিলাম। জঙ্গলে আমাকে একা পেয়ে মারধর শুরু করে দেয় এক দল যুবক। মারের চোটে আমি লুটিয়ে পরি। কিন্তু আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেনি তারা। তবে আমার গলা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটবে বলেছিল।’’ জ্ঞান ফিরে তিনি দেখেন, হাসপাতালে ভর্তি। তিনি বলেন, ‘‘আমায় মারধর করে ব্লেড দিয়ে শরীরের কিছু অংশ কেটে দিয়েছিল।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, সেদিন সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলা পড়ে রয়েছেন বলে খবর পেয়েই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy