বাবলু সরকার, প্রণব চট্টোপাধ্যায়, বিজয় সান্যালদের সঙ্গে তাজেম সরকার, আকলু মিঁয়া, জাইরুল সরকারেরা হাত মিলিয়ে আট জন ঝাঁপিয়েছেন। জাতপাতের গণ্ডিকে হেলায় সরিয়ে পুজো কমিটিতে হিন্দু মুসলমান—দুই সম্প্রদায়ের মিলিত যোগদানে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন বারোয়ারি দুর্গোৎসব কমিটির দেবী আক্ষরিক অর্থে সর্বজনীন হয়ে উঠেছে।
রাজা, জমিদার আমলের প্রতিষ্ঠিত এই পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের। কালের গতিতে বদল গিয়েছে নবাবি আমল থেকে সেই জমিদারি যুগ। কিন্তু জেলার এই প্রাচীন দুর্গাপুজো আজও নিষ্ঠাভরে দুই সম্প্রদায়ের সক্রিয় উদ্যোগে পালিত হচ্ছে। পুরনো ঐতিহ্যের ধারা বজায় রেখে আজও পুজোর তিন দিন আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে দিনরাত পাত পেড়ে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ার প্রচলন ধরে রেখেছে তপন বারোয়ারি দুর্গোৎসব কমিটি।
শহরের বিগ বাজেটের পুজো জৌলুস না থাক তপনের লস্করহাট সর্বজনীন, বালাপুর বাজার কমিটি, বালাপুর ছোট বটতলা, ডাইং মালঞ্চা এলাকার পুজোর মতোই এই জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের মৈত্রী সঙ্ঘ, কুমারগঞ্জ সার্বজনীন, গোপালগঞ্জ সর্বজনীন, থানাপাড়া পুজো কমিটি সাধ্য মতো নিষ্ঠার সঙ্গে দুর্গাপুজোর আয়োজনে মেতে উঠেছে। ধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ঘুচে তৈরি হয়েছে এক মিলনক্ষেত্র। কুশমণ্ডি বারোয়ারি কিংবা হরিরামপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজোয় মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমা সজ্জার সব দিক সামলে মন্টু সর্দার, বিজয় সরকারেরা সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy