মোবাইল: পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে ময়নাগুড়িতে সুভাষনগর হাইস্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা। মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুর হাইস্কুলে হাজির পুলিশকর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকছেন পরীক্ষার্থীরা। ওই স্কুলে সিট পড়েছে মোজমপুর, রমেশচন্দ্র ও জালালপুর হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের।
সুজাপুর হাইস্কুলের মতো সুজাপুর নয় মৌজা হাই মাদ্রাসাতেও সকাল থেকে দু’জন অফিসার সহ মোতায়ন ছিল সিভিক ভলেন্টিয়াররা। ওই মাদ্রাসাতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫৬০ জন। শুধু সুজাপুরই নয়, কালিয়াচকের সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রকেই স্পর্শকাতর চিহ্নিত করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়। তারপরেও প্রশ্নপত্র ফাঁসে কালিয়াচকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক মহলও। সুজাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক পাল বলেন, “সুষ্ঠু ভাবেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রক্ষী ছিল।”
কালিয়াচক ও সুজাপুর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। কিছু শুনেছেন? তিনি বলেন, “আমাদের কিছু জানা নেই। তা পুলিশ প্রশাসনের বিষয়।”
নকল সরবরাহ থেকে শুরু করে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অস্বস্তিতে পড়েছিল মালদহ জেলা পুলিশ প্রশাসন। উচ্চ মাধ্যমিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও তৎপর ছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। জানা গিয়েছে, জেলাতে মোট ভেনু ৯৯টি। তারমধ্যে ২৫টি ভেনুকে স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলো কালিয়াচক, মানিকচক, ইংরেজবাজার এবং রতুয়ায় রয়েছে। তাই স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতে দু’জন করে অফিসার সহ মোট দশ জন করে সিভিক ভলেন্টিয়ার মোতায়ন করা হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকী, নজরদারি চালানোর জন্য নজরদারি টিমও গঠন করা হয়।
তারপরেও এদিন পরীক্ষা শুরুর দিনই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। সেই বিষয়টি ফের অস্বস্তির মুখে পড়ে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী পরীক্ষাগুলোতে আরও কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy