Advertisement
E-Paper

‘লাগামছাড়া’ আলুর দাম, প্রভাব পাতে

আলুর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের বহু পরিবারে। জেলাগুলির বাজারে এখন আলু বিকোচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ১০:১৭
Share
Save

কথায় আছে, আলু সেদ্ধ-ভাতে বাঙালি। সে আলুই এখন পাতে দামি হয়ে উঠেছে—আক্ষেপ মালদহ শহরের গয়েশপুরের বাসিন্দা ভ্যান চালক বিজয় সিংহের। তিনি বলেন, “আলু সেদ্ধ থাকলেই পেট ভরে ভাত খেয়ে ভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। তবে দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে ভাতের সঙ্গে সেদ্ধ আলুটুকুও জুটবে না।”

আলুর মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে মালদহ ও দুই দিনাজপুরের বহু পরিবারে। জেলাগুলির বাজারে এখন আলু বিকোচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আলুর দাম ৩০ টাকার নীচে নেমে গিয়েছিল গৌড়বঙ্গের তিন জেলাতেই। প্রশাসনের তরফে চালু করা হয়েছিল ‘সুফল বাংলা’র স্টল। ফের আলুর মূল্যবৃদ্ধিতে অস্বস্তিতে প্রশাসনের কর্তারা। মঙ্গলবার সন্ধেয় মালদহের প্রশাসনিক ভবনে হিমঘর মালিক, আলু ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রশাসনের কর্তারা। সে বৈঠকে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ী, প্রশাসনের কর্তাদের কড়া বার্তা দেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। কৃষি বিপণন দফতরকে নিয়মিত হিমঘর পরিদর্শনের নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘কৃত্রিম ভাবে আলুর সঙ্কট তৈরি করা হলে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারগুলিতে পরিদর্শন, অভিযান চলবে।” এ ছাড়া, ‘সুফল বাংলা’র স্টল থেকে সুলভ মূল্যে আলু বিক্রি চলছে বলে জানান তিনি।

গৌড়বঙ্গের তিন জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি আলু উৎপাদন হয় মালদহে। কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, মালদহের হিমঘরে এখনও ৫৮ শতাংশ আলু মজুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে দুই দিনাজপুরের হিমঘরগুলিতেও। তবুও জেলাগুলিতে জ্যোতি আলু কেজি প্রতি খুচরো বাজারে ৩৫-৪০ টাকা দামে বিকোচ্ছে। পোখরাজ আলু কেজি প্রতি বিকোচ্ছে ৩০-৩২ টাকা দামে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহেই আলুর দাম জেলাগুলিতে ২৬-৩০ টাকা কেজির মধ্যে ছিল।

আচমকা কেন বাড়ল আলুর দাম? সাধারণ মানুষের দাবি, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের বাজারগুলিতে অভিযান শিথিল হয়েছে। এ ছাড়া, আলু ব্যবসায়ীদের একাংশ হিমঘর থেকে আলু বার করছেন না। যার ফলে, বাজারে আলুর সঙ্কট তৈরি হতেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে হিমঘর মালিকদের সংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেছেন, “হিমঘরে মজুত আলুর একাংশ (যেগুলি আকারে ছোট হয় বা গুণমান কম) বিহার, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে চলে যায়। সে আলু রফতানি বন্ধ হতেই হিমঘর থেকে আলু বের করার হিড়িক কম ছিল। এখন ফের রফতানি শুরু হচ্ছে। আশা করছি, শীঘ্রই ফের আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।”

তথ্য: অভিজিৎ সাহা, অনুপরতন মোহান্ত, গৌর আচার্য

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Potatoes

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}