ভারত এবং আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত পরিণতি পাওয়া প্রয়োজন। নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন দু’দেশই এ বিষয়ে সহমত। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি ছাড়াও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন। ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। ট্রাম্প এই শুল্ক ঘোষণার আগে থেকেই ভারত এবং আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা শুরু করেছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিনিধিদল ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে। বেশ কয়েক দফায় আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আমেরিকার পণ্যের উপর পাল্টা কোনও শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা নেই ভারতের। রবিবারই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স কেন্দ্রের এক পদস্থ আধিকারিক সূত্রে জানিয়েছে, পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পথে হাঁটছে না ভারত। কারণ, এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন:
ট্রাম্প নয়া শুল্কনীতি ঘোষণার পরে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকার প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্ক ভাবে পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই সমস্ত শিল্প এবং রফতানিকারক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে শুল্ক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেখার চেষ্টা করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী বুধবার দেশের বিভিন্ন রফতানি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে কেন্দ্র। আমেরিকার শুল্কনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।
বস্তুত ভারতের মোট রফতানির প্রায় ১৮ শতাংশ যায় আমেরিকার বাজারে। আমদানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারের ৬.২২ শতাংশ মার্কিন পণ্য। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয় ১০.৭৩ শতাংশ। সম্প্রতি নয়া মার্কিন শুল্কনীতিতে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্য রফতানির জন্য ২৬ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিংড়ি, কার্পেট, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সোনার গহনা রফতানিকারকেরা ধাক্কা খেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সরকার যাতে কোনও আর্থিক সুবিধা দেয়, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে ইতিমধ্যে সেই অনুরোধ জানিয়েছে রফতানি সংস্থাগুলি।
- দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ভাষণে যেমন উঠে এসেছে আমেরিকার বিভিন্ন বিষয়, তেমনই জায়গা পেয়েছে বিদেশনীতিও।
- পূর্বসূরি জো বাইডেনের সরকারের সমালোচনাও শোনা গিয়েছে ট্রাম্পের কণ্ঠে। তাঁর ভাষণ জুড়ে ছিল কখনও অন্য দেশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি, আবার কখনও শোনা গিয়েছে ধন্যবাদজ্ঞাপনও। উঠে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ প্রসঙ্গও!
-
শুল্ক-বাণিজ্যে দর কষাকষি: মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্স আসছেন ভারতে, বৈঠক হবে মোদীর সঙ্গে
-
ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব জিংপিঙের! বিরল খনিজ ও চুম্বক আমেরিকায় না পাঠানোর সিদ্ধান্ত চিনের
-
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে কি বাদ যাবে না বৈদ্যুতিন পণ্য? শীঘ্রই আসছে বিশেষ মার্কিন শুল্ক!
-
মার্কিন শুল্কে ‘ভয় নেই’! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একজোট হওয়ার বার্তা চিনের
-
ট্রাম্পের সঙ্গে দর কষাকষির দরজা খুলল ইউরোপ! আপাতত ৯০ দিন হিমঘরে মার্কিন পণ্যে ‘পাল্টা’ শুল্ক