n প্রস্তুতি: ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারের মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
মহড়া হওয়ার কথা ছিল বুধবারই। কিন্তু শেষ অবধি সম্ভব হল না। তার জন্য মূলত দায়ী ধানি জমির ঝুরঝুরে মাটি। প্রধানমন্ত্রীর সভার দু’দিন আগে এই বিষয়টিই এখন সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন এবং এসপিজি-কে। দিল্লি থেকে নির্দেশ এসেছে, যে করেই হোক আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে মহড়া করতেই হবে।
ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডারের যে মাঠে মোদীর সভা হবে, তার এক পাশেই হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চলছে। মাঠ বলা হলেও আদতে ধানের জমি। পাশ দিয়ে নদীও বয়ে যাচ্ছে। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করায় মাটি ঝুরঝুরে হয়ে রয়েছে। পা ফেললে ডেবে যাচ্ছে। এই মাটিতে হেলিকপ্টার নামানো বেশ কঠিন বলে এসপিজি অফিসারেরার একান্তে স্বীকার করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভার কাছে তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে। সেগুলির এক একটি তৈরি করতে প্রায় ৪০ হাজার ইট প্রয়োজন হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। প্রতিটির ক্ষেত্রে খরচ হচ্ছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার কাছাকাছি।
এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রায়গঞ্জের সভার ক্ষেত্রে হেলিপ্যাড অনুপুযুক্ত বলে পূর্ত দফতর অনুমতি দেয়নি। মোদীর কপ্টার নামার হেলিপ্যাড তৈরির তদারকি করছে পূর্ত দফতরই। নরম মাটিতে কী ভাবে কাজ শেষ হবে, সেটাই তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিজেপির উত্তরবঙ্গের সহ-আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক অবশ্য বলেন, “মজবুত করে তৈরি হচ্ছে বলেই সময় লাগছে। বৃহস্পতিবার সারা দিন পড়ে রয়েছে। বহুবার মহড়া হতে পারে।”
নিরাপত্তার কড়াকড়ি এতটাই যে, যাঁরা বাঁশ বাঁধার কাজ করছেন, তাঁদেরও পরিচয়পত্রের প্রতিলিপিও জমা রাখা হচ্ছে। সংশয় তৈরি হয়েছে চেয়ার রাখা নিয়েও। সমর্থকরা যেখানে থাকবেন, সেখানে কিছু চেয়ার ছিল। কিন্তু ঠাকুরনগরের পরে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy