এক বছরে ১৯.২৫ শতাংশ হার বাড়লেও মালদহ জেলার প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিয়ে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সেই হার একশো শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব নিয়ে জেলায় চালু আনন্দী প্রকল্পের মাধ্যমে সচেতনতায় জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় পেশ করা রিপোর্টে মালদহ জেলায় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এই জেলায় ২০১৩-১৪ সালে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল ৫২.৮৪ শতাংশ। পরের বছর তা হয় ৫৭.৮২ ও ২০১৫-২০১৬ সালে ৬৫.৩২ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার কম থাকায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলায় কড়া বার্তা পাঠায়। ফলে ২০১৬ সালের শুরু থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসে। জেলা প্রশাসনও এগিয়ে আসে। সচেতনতা প্রচারে জোর দেওয়া হয়। হার বাড়াতে এই জেলাতেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আদলে চালু হয় আনন্দী প্রকল্প।
জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে জেলার গর্ভবতী মায়েদের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত ট্র্যাকিং করা শুরু হয়। এ জন্য আশা ও এএনএমদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। গর্ভবতীদের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে জেলায় ১৭৯টি নিশ্চয় যান চালু করা হয়। এ রকম আরও আরও একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথায়, তাতেই এক বছরে প্রসবের হার ১৯.২৫ থেকে বেড়ে হয় ৮৪.৫৮ শতাংশ (২০১৬-১৭)।
কিন্তু এই হার নিয়ে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সভায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে ফের বিষয়টি নিয়ে জোর পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো আমরা জেলায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার একশো শতাংশে নিয়ে যেতে চাই। প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে সুলতানগঞ্জ, বাবুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১০ শয্যার প্রসূতি বিভাগ চালু করার প্রস্তাব গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর শুধু নয়, প্রশাসন, ত্রিস্তরের পঞ্চায়েত সদস্য—সকলকে নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়াতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy