গ্রামেও ‘দিদির দূত’রা আসবেন— এই খবর চাউর হতেই পাঁসিপাড়ায় শুরু হয় দেওয়াল লিখন। লেখা হয়, ‘‘নেতামন্ত্রীদের এই পাড়ায় প্রবেশ নিষেধ’’। —নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রী এবং নেতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ পাড়ায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই মর্মে দেওয়ালে লিখন দেখা গেল এলাকায়। মালদহের জেলা সদর শহর ইংরেজবাজার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে পুরাতন মালদহ ব্লকের মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁসিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা এমনই ফরমান জারি করলেন জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে।
কেন এই ফরমান? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের এলাকার রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য। রাস্তা ভাল করার দাবিতে একাধিক বার বিক্ষোভ করেছেন। পথ অবরোধও করেছেন। কিন্তু মিলেছে কেবল প্রতিশ্রুতি। স্থানীয় নেতা থেকে মন্ত্রী ও সাংসদের বাড়িতে তাঁরা গিয়েছেন। পেয়েছেন কেবল আশ্বাস। তার মাঝেই রাজ্য সরকারের তরফে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। স্থানীয় নেতামন্ত্রীরা গ্রামবাসীদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনছেন। এই গ্রামেও ‘দিদির দূত’রা আসবেন— এই খবর চাউর হতেই পাঁসিপাড়ায় শুরু হয় দেওয়াল লিখন। লেখা হয়, ‘‘নেতামন্ত্রীদের এই পাড়ায় প্রবেশ নিষেধ’’।
ললিতা চৌধুরী নামে এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘আমার গ্রামে কিছুই নেই। ‘দিদির দূত’দের তাই ঢুকতে দেব না। ভোটও দেব না।’’ গোপাল ঋষি নামে আর এক স্থানীয় বাসিন্দার সুরও একই। তাঁর কথায়, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট আসছে। নেতামন্ত্রীরা মিটিং করছেন। এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন। কিন্তু ৩ বছর ধরে যে পঞ্চায়েত সদস্যরা আছেন, তাঁরা তো কোনও কাজ করেননি। রাস্তা হয়নি। জলের ব্যবস্থা করেনি। আলো এবং নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। তাই ওঁদের প্রবেশ নিষেধ।’’
এ নিয়ে শাসকদলের প্রতিক্রিয়া চাইতে গেলে মালদহের তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, ‘‘অভাব-অভিযোগ শোনার জন্যই তো এমন (দিদির দূত) কর্মসূচি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রশমিত হবে। সমস্যা সুরাহার হয়ে গেলে গ্রামবাসীদের ক্ষোভও প্রশমিত হয়ে যাবে।’’ তৃণমূল নেতার আরও দাবি, ‘‘বিজেপির ফাঁদে পড়়ে গ্রামবাসীদের কয়েক জন এমন দেওয়াল লিখেছেন। তাতে অবশ্য বিজেপি হালে পানি পাবে না।’’
দেওয়াল লিখন নিয়ে মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর কথায়, ‘‘দিদির ভূতের ভয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আবার হয়তো প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে কাটমানি তোলার ফন্দি করেছেন দিদির ভাইয়েরা। তাই ‘দিদির দূত’দের গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রচার করছেন এলাকাবাসী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy