সর্বদল বৈঠকের ডাক গুরুংয়ের, পাহাড়ে কি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ? — ফাইল ছবি।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক। রবিবার দার্জিলিংয়ের জিডিএনএস প্রেক্ষাগৃহে এক সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও তৃণমূল বাদে সমস্ত দলের কাছেই গিয়েছে বিমল গুরুংয়ের আমন্ত্রনপত্র। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, গুরুংয়ের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চলেছে বিজেপি। পাহাড়ের রাজনীতিতে কি নতুন সমীকরণ, তা নিয়ে শুরু নয়া জল্পনা।
তৃণমূলকে বাদ দিয়ে এ বার কি আবার গেরুয়া শিবিরে ভিড়তে চাইছেন গুরুং? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ রবিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে গুরুং বিজেপিকে ডেকেছেন। বিজেপি তাতে যোগ দেবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ ডেওয়ান। তার পরেই নয়া সমীকরণের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। সুত্রের খবর, রবিবারের বৈঠকে আসার আমন্ত্রণ পেয়েছে বিজেপি, হামরো পার্টি, জিএনএলএফ এবং সিপিআরএম। তাহলে কি তৃণমূল বিরোধীদের নিয়ে পাহাড়ে নতুন কোনও জোট গড়তে চাইছেন গুরুং?
রবিবারের বৈঠক নিয়ে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সভাপতি কল্যান দেওয়ান বলেন, ‘‘বিমল গুরুংদের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। পাহাড়ে দুর্নীতি দমনের স্বার্থে যদি গুরুং বা অনিত এবং তৃণমূল বিরোধী শক্তিগুলি একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেয় তাহলে তা দলের অন্দরে আলোচনা করা হবে। তার কী নীতি বা দাবি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। বিজেপির জোট সঙ্গী জিএনএলএফের সঙ্গেও আলোচনা হবে যে, বিমল-সহ বিরোধীদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা যাবে কি না।’’ যদিও জিএনএলএফ বৈঠকের আমন্ত্রণপত্র পেয়েছে বলে জানিয়েছে। কিন্তু বৈঠকে হাজির থাকবে কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র নীরজ জিম্বা। বৈঠক এবং বৈঠকে সম্ভাব্য আলোচ্যসূচি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও। এ নিয়ে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এখন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
রবিবারের সর্বদলীয় বৈঠকের ডাককে অবশ্য বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না পাহাড়ের আর এক নেতা বিনয় তামাং। তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে এমন কোনও চিঠি আসেনি। যতদূর আমি জানি, অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টিও এমন কোনও আমন্ত্রণপত্র পায়নি। যদি চিঠি পাই তাহলে ভেবে দেখব যাব কি না।’’ হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ডকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
পাহাড়ের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, এক সময় গুরুংয়ের দাপট ছিল অপরিসীম। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে তাতে ভাটার টান। পুরভোটে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অনতিঅতীতে গুরুংয়ের অনশন-ধর্মঘটের কর্মসূচিও কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। পাহাড়ে জিটিএ ভোটের পর থেকে আরও কোণঠাসা অবস্থা গুরুংয়ের। এই পরিস্থিতিতে পাহা়ড়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন গুরুং। তাই কি তৃণমূলকে এড়িয়ে বিজেপির হাত ধরার চেষ্টা?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy