জম্মু এবং কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হত্যালীলার দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। নয়াদিল্লির তরফে ইতিমধ্যে সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। এরই মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে জরুরি বৈঠক সারল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি (সিসিএস)। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে তা শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। সিসিএস-এর অন্যতম সদস্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। উপত্যকায় হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমেরিকা-পেরু সফর কাঁটছাঁট করে দেশে ফিরছেন তিনি। তবে বুধবার সন্ধ্যায় মোদীর বাসভবনের বৈঠকের যে ছবিগুলি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে তাঁকে দেখা যায়নি।
বুধবার সকালে সৌদি আরব থেকে নয়াদিল্লিতে ফেরার পরেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গেও আলোচনা সারেন তিনি। তা ছাড়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথও বুধবার পৃথক ভাবে একটি বৈঠক করেছেন ডোভালের সঙ্গে। ওই বৈঠকে ছিলেন বায়ুসেনার এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহ এবং অন্য আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও তিন জন রয়েছেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। টিআরএফের উত্থান ২০১৯ সালে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ হওয়ার পর। টিআরএফের জন্ম হয়েছিল কাশ্মীরি জঙ্গি শেখ সাজ্জাদ গুলের হাতে। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র সদ্য অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ।
আরও পড়ুন:
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ ইতিমধ্যে হুঙ্কার দিয়েছেন, অপরাধীদের দ্রুত জবাব দেওয়া হবে। বুধবার দুপুরের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, শীঘ্রই জোরালো এবং স্পষ্ট জবাব পাবে অপরাধীরা। শুধু হত্যাকারীরাই নয়, যারা পিছন থেকে কলকাঠি নেড়েছে, তাদেরও জবাব দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজনাথ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বুধবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ফিরেছেন। কাশ্মীর উপত্যকায় গিয়ে তিনি ভরসা দিয়েছেন, এই নৃশংস জঙ্গি হামলায় দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না।
- পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়।
- জবাবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে প্রত্যাঘাত করা হয়। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
-
০৭:৩৯
সংঘর্ষবিরতি চুক্তির বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তান, বরং কিছু জায়গায় ভারত শর্ত লঙ্ঘন করছে, বিবৃতি ইসলামাবাদের -
২৩:০১
চুক্তি ভেঙেছে পাকিস্তান, অস্ত্রবিরতির পরেও পাক হামলা নিয়ে কড়া বিবৃতি ভারতের: ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে -
১৭:৫৮
শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ভারত আর পাকিস্তান সব ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ভারতীয় বিদেশসচিব -
১৭:৩৪
যে কোনও সময় খালি করতে হতে পারে সীমান্তবর্তী গ্রাম! গুজরাতে জরুরি সতর্কতা জেলাশাসকদের -
১৭:২৯
‘আত্মরক্ষার জন্য লড়ছি’! পাক প্রেসিডেন্ট জারদারির সাফাই, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বললেন, ‘হামলায় প্রতিশোধ নিয়েছি’