Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প

পুকুরে বোরোলি চাষের পর এ বার পরীক্ষামূলক ভাবে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা মৎস্য দফতর। দফতর সূত্রের খবর, কোচবিহার শহরের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ সাগরদিঘি-সহ চারটি জলাশয়ে মাছ চাষের রূপরেখা তৈরি হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৭ ০২:২০
Share: Save:

পুকুরে বোরোলি চাষের পর এ বার পরীক্ষামূলক ভাবে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা মৎস্য দফতর। দফতর সূত্রের খবর, কোচবিহার শহরের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণ সাগরদিঘি-সহ চারটি জলাশয়ে মাছ চাষের রূপরেখা তৈরি হয়েছে। বাকি তিনটি জলাশয়ের দু’টি দিনহাটা ২ ব্লক ও অন্যটি দিনহাটা ১ ব্লক এলাকায় চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প এটি।

মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম তো বটেই বাংলাদেশের কিছু এলাকাতেও ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের প্রকল্প সাড়া ফেলছে। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার কোচবিহারে ওই চাষ শুরুর ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। দফতরের জেলা আধিকারিক অলোকনাথ প্রহরাজ বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত মিললে পরীক্ষামূলক ভাবে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করা হবে।”

দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পে প্লাস্টিকের জলাধার তৈরি করে হাল্কা পাইপ দিয়ে চার দিক মুড়ে দেওয়া হয়। তার ওপরে দেওয়া হয় মশারি নেটের ঘেরাটোপ। বিশেষ পদ্ধতিতে ওই জলাধার বা ড্রাম জল ভরা অবস্থাতেই জলাশয়ে ভাসমান অবস্থায় ঘুরে বেড়ায়। চারাপোনার দেখভাল, খাবার দেওয়া থেকে প্রয়োজনে সেখান থেকে মাছ তুলে বাজারে নিয়ে যাওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ। ফলে প্রকল্পটি নিয়ে ঠিকঠাক ভাবে এগোনো গেলে ওই পদ্ধতিতে চাষ লাভজনক হওয়ার সম্ভবনাও প্রবল।

কয়েক মাস আগেই তোর্সার রুপোলি সম্পদ বোরোলি মাছ জেলার বেশ কিছু পুকুরে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই সব চারাপোনার আকার ও ওজন খানিকটা বেড়েছে। দফতরের এক কর্তা জানান, বোরোলি চাষ সফল হওয়ার মুখে। ভাসমান খাঁচার প্রকল্পে শিঙি, মাগুর, কই মাছের উৎপাদন বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Fish cultivation Floating Cage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE