গত দু’দিনে পেটের রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ৫০ জন বাসিন্দাকে।
অসুস্থদের মধ্যে দু’টি শিশুও রয়েছে। দূষিত জল পান করেই এই বিপত্তি বলে অভিযোগ। পিএইচই-র পাইপ লাইন ফেটে নর্দমার জলের সঙ্গে মিশে যায় বলে মহকুমা শাসক দেবাশিস বিশ্বাস জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘‘ঘটনার খবর পেয়ে পিএইচই ওই পাইপ লাইন মেরামত করে।’’
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গঙ্গারামপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কায়স্থ পাড়া এলাকায় গাড়ির চাকার চাপে মাটির নীচের জলের পাইপ ফেটে যায়। ফাটা অংশ দিয়ে নর্দমার জল ঢোকে পানীয় জল সরবরাহের পাইপে। দু’দিন ধরে এই দূষিত জল পান করে অন্তত ৫০ জন বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে এলাকার পিএইচই-র ট্যাপের জল পান করে পেট ব্যথা শুরু হয় তাঁদের। অনেকে বমি করতে থাকেন। সোমবার সকাল থেকেই অসুস্থদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অসুস্থদের মধ্যে ১২ জনকে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের সোমবার বিকেলেই ছেড়ে দেওয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘দু’দিনে দুই শিশু-সহ অন্তত ৫০ জন বাসিন্দা পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। তারা সকলেই সুস্থ হয়ে ওঠায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় বিপদের আশঙ্কা কমেছে।’’
পিএএইচই-র মহকুমা সহকারি বাস্তুকার কেশব কুমার বলেন, ‘‘বহু বছরের পুরোনো পাইপ। গাড়ির চাকার চাপেও ভাঙতে পারে। সোমবার খবর পেয়েই আমরা মেরামতির কাজ শুরু করি। মঙ্গলবার সকালে কাজ শেষ হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy