হাসিমুখে: ‘কোটিপতি’ অসীম সমাদ্দার। নিজস্ব চিত্র
‘ছেড়া কাঁথায় শুয়ে কোটি টাকা স্বপ্ন’ দেখার প্রবাদ বাস্তবে দেখালেন অসীম সমাদ্দার।
লটারির টিকিটে রাতারাতি কোটি টাকা জিতে হতবাক মালদহের হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের দাল্লার ওই কৃষিজীবী। ‘কোটিপতির গ্রাম’ হয়ে গিয়েছে দাল্লাও। নিয়মিত সেখানে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই গ্রামে মাটির দেওয়াল আর টিনের ছাউনির ঘর অসীমের। তাঁর বাবা সুধীর নিজের তিন বিঘা জমিতে চাষবাস করেন। মাঠে কাজে যান অসীমও। চাষের টাকাতেই চলে সংসার। ২০১৬ সালে পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন অসীম। তার পর খেকে বাবার সঙ্গেই জমিতে চাষবাস করেন। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষাও দেন।
অসীম জানান, ২১ ডিসেম্বর সকালে ৬ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন শখের বশেই। তার প্রথম পুরস্কার ছিল এক কোটি টাকা। টিকিটেই রাতারাতি ভাগ্যবদল। ২১ ডিসেম্বরেই দুপুরে লটারির খেলা হয়। তার পরেই চাউর হয় হবিবপুরেরই কেউ প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশও। জয়ীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এর পরেই খোঁজ মেলে নয়া কোটিপতির। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতেই থানায় টিকিট নিয়ে হাজির হন অসীম। হবিবপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বরের সঙ্গে অসীমের টিকিট মিলিয়ে দেখা হয়। তার পরেই টিকিট বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।’’
এখনও টাকা হাতে পাননি অসীম। তবে এক টিকিটেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন সমাদ্দার পরিবার। অসীম বলেন, ‘‘ওই দিন বিকেলেই জানতে পারি। দোকানে গিয়ে টিকিটও মেলানো হয়। তবে ভয়ে কাউকে কিছু জানাইনি। সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি পুলিশ টিকিটের মালিকের খোঁজ করছে। তার পরেই থানায় যাই।’’
কোটি টাকা হাতে পেলে বাড়ি, জমি করবেন বলে জানিয়েছেন অসীম। তাঁর বাবা ও মা অঞ্জলি বলেন, ‘‘চাষবাস করে টেনেটুনে কোনও রকমে সংসার চলছিল। আমাদের ভাগ্যের চাকা এই ভাবে ঘুরবে তা কখনও ভাবতে পারেনি।’’
অসীমের লটারিতে টাকা পাওয়ার খবর পেয়ে ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশী গ্রামের বাসিন্দারাও। গ্রামবাসী অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামকে অনেকেই এখন বলছেন কোটিপতির গ্রাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy