শ্বশুরবাড়ির শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই হাসপাতালে মৃত্যু হল বধূর। শুধু তাই নয়, অসুস্থ হলে ঠিক মত চিকিৎসা করানো হয়নি বলেও অভিযোগ বধূর বাড়ির লোকেদের৷ শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে মৌ গুহ সরকারের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়িতে৷ মৃতার স্বামী সুজিত সরকার ও শ্বশুর-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর বাবা৷ পুলিশ আটক করেছে স্বামীকে।
২০ জুলাই ইসলামপুরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা মৌয়ের সঙ্গে ময়নাগুড়ির ময়নামা পাড়ার বাসিন্দা সুজিতের বিয়ে হয়৷ সুজিত পেশায় এলআইসি এজেন্ট৷ মৌয়ের মা অনিতা গুহর অভিযোগ, বিয়ের সময় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা পণ নেয়৷ তার পরেও টাকার জন্য চলত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। সারা দিন ধরে অমানুষিক খাটিয়ে খেতে দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ তাঁর মায়ের৷ এমনকী, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া হতো না।
অনিতাদেবী বলেন, ‘‘ওর শরীরে হিমোগ্লোবিন একেবারেই কমে যায়৷ তবুও চিকিৎসা করানো হয়নি৷ বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে শনিবার জোর করে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি৷ কিন্তু তার খানিক ক্ষণের মধ্যেই মেয়ে মারা গেল৷’’ যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বামী সুজিত৷ তার পাল্টা অভিযোগ, বিয়ের আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন মৌ৷ শনিবারও শরীর খারাপ শুনে চিকিৎসকের কাছে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে যান৷ রাতে পরিস্থিতি খারাপ হলে হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়। মৃতার বাড়ির লোকজন অবশ্য সুজিতের সাফাই মানছেন না৷ মৌয়ের বাবা পবিত্র গুহ বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই মেয়েকে অত্যাচার করে মেরেছে৷ আমরা ওদের শাস্তি চাই৷’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে৷ সুজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy