হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দার্জিলিং ম্যাল চৌরাস্তা চওড়া করে ঢেলে সাজার কাজে নামল গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে ৮.৩২ কোটি টাকা খরচে শীতের মরসুমে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মূলত ম্যাল রোড থেকে সরানো হকারদের পুনর্বাসন নিয়ে প্রকল্প তৈরির সময়ই নতুন ম্যালের পরিকল্পনা তৈরি হয়। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের কথা বলেছেন।
জিটিএ-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ম্যাল চৌরাস্তার একাংশের চেহারা ধীরে ধীরে বদল হতে থাকবে। হকারেরাও মাথায় ছাদ দেওয়া স্থায়ী জায়গা পাবেন।’’
তবে নতুন পরিকল্পনায় ম্যালের আদল বা গাছপালার ক্ষতি যাতে না হয়, তা নিয়ে উদ্বেগে দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের অনেকেই। প্রকল্পের কাজ করছে জিটিএ-র ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। নতুন পরিকল্পনায় গোটা ম্যালের বসা এবং আলোর ব্যবস্থা ঠিক করা হচ্ছে। এর পরে ম্যালের দিক থেকে ভানু ভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তাটা কংক্রিট দিয়ে দ্বিগুণ চওড়া করা হচ্ছে। নীচে স্তম্ভ বসিয়ে রাস্তার ধার থেকে তিনটি তলা ভবন উঠবে। যার মাথাটা ম্যালের রাস্তার সমান হবে। সেখানে বসার ব্যবস্থা, বয়স্কদের আলাদা বসার জায়গা, শিশুদের খেলার জায়গা ছাড়াও খোলা জিম, ফোয়ারা, গাছপালা বসবে। পুরোটাই ঘাসে মুড়ে দেওয়া নিয়ে নিয়ে আলোচনা চলছে। এতে এলাকাটা চওড়া হবে। নতুন তৈরি করা চওড়া অংশ থেকে নীচের তিনটি তলায় নামার সিঁড়ি থাকবে। তেমনিই, ভানুভবন থেকে নীচের দিকে নামার রাস্তা থেকে বহুতলটিতে ওঠার সিঁড়ি থাকবে। এই তিন তলায় কোনও ঘর থাকবে না। পুরো খোলা রাখা হবে। সেখানেই ম্যাল চৌরাস্তাকে ঘিরে বসা ১০৬ টন হকারকে জায়গা দেওয়া হবে বলে ঠিক হবে। পুজো বা দীপাবলির মধ্যে তাঁদের বসানোর চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি ম্য়ালকে ‘নো ভেন্ডিং জ়োন’ ঘোষণা করে দার্জিলিং পুরসভা। কিন্তু হকারদের প্রতিবাদ শুরু হতেই আসরে নামেন জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। কয়েকদিন আগে তিনি এলাকায় গিয়ে দফায় দফায় হকাদের সঙ্গে কথাও বলেন। জিটিএ-র তরফে নতুন প্রকল্প তৈরি করে তা দেখানো হয়। মূলত ম্য়ালকে আরও বড় করার সঙ্গে হকারদের কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে।
দার্জিলিঙের কয়েকজন বাসিন্দা অবশ্য জানান, বিমল গুরুংয়ের আমলে ম্যালে বড় পর্দা বসানো হয়। যা বছরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। এতে ম্যালের একাংশ প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ। এ বার নতুন প্রকল্পে সেটা মাথায় রাখা দরকার। যদিও গাছ না কেটে এবং পরিবেশ স্বাভাবিক রেখেই কাজের আশ্বাস দিয়েছেন জিটিএ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy