ডার্বি ম্যাচের বোঝা ঘাড় থেকে নামতেই ফের বড় ম্যাচের আয়োজনের চিন্তা ঢুকে গিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের মাথায়। আগামী ২৩ এপ্রিল কাঞ্চনজঙ্ঘায় মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ হতে পারে বলে মোহনবাগান ক্লাব সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এখনও একশো শতাংশ নিশ্চয়তা না মিললেও নিজেদের দিক থেকে কোনও রকম আয়োজনের ঘাটতি রাখতে চান না তাঁরা। ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের পর ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাওয়ায় মোহনবাগান ক্লাবকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত রকম ব্যবস্থা ঠিক থাকলেই তবে ক্রীড়া পরিষদ তাঁদের সঙ্গে যৌথ আযোজনের দায়িত্ব নেবে। শনিবারই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে ইডেনে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দেখতে কলকাতা গিয়েছেন অরূপরতনবাবু। সেখান থেকে মোহনবাগান কর্তাদের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকে বসার কথা। আগামী সোম-মঙ্গলবারের মধ্যে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মোহনবাগানের মিডিয়া ম্যানেজার মহম্মদ ইমরান। তবে ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা যে ধরনের অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে আয়োজন করেছেন, তা মোহনবাগান ম্যাচের ক্ষেত্রে হবে না বলে দাবি করেছেন মোহনবাগানের স্থানীয় এক কর্তা।
মহম্মদ ইমরান বলেন, ‘‘আপাতত আমরা শিলংয়ে লাজং এফসি ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি। তার পরেই আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’’ তবে মাঠ নিয়ে মোহনবাগান খেলোয়াড়রা একটা অভিযোগ করেছেন। বড় ঘাসের জন্য তাঁরা জোরে শট নিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ক্লাবে। এ ব্যপারটিতে বেশি গুরুত্ব দিলে শেষমেষ হয়ত খেলা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে গুয়াহাটিতে খেলার সম্ভাবনাই প্রবল। যদিও এখনই অত শত ভাবতে নারাজ কেউই।
ম্যাচের ব্যাপারে এখনই কেউ কিছু না বলতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে মোহনবাগান বলে জানা গিয়েছে। ক্লাব সূত্রে জানানো হয়েছে, সবার আগে সীমিত টিকিট বিক্রি করা হবে। যাতে কাউকে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয়। দ্বিতীয়ত ক্রীড়া পরিষদের সমস্ত সদস্যদের টিকিট দেওয়া হবে বিনা মূল্যে। জল নিয়ে মাঠে ঢুকতে বাধা রয়েছে। তাই আগে থেকে জলের পাউচ বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। এ বার শেষ মুহূর্তে বিষয়টি জানানোতে জলের পাউচ আনানো সম্ভব হয়নি বলে ক্রীড়া পরিষদ কর্তারা জানিয়েছেন। অরূপরতনবাবুও বলেন, ‘‘আগে থেকে বরাত দিলে জলের পাউচ আমদানি করতে কোনও অসুবিধা হবে না। এবারে দেরি হয়ে গিয়েছিল।’’
ভুয়ো টিকিট বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে, তেমন যাতে না হয় সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে বলে ক্রীড়া পরিষদ কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন। ডার্বির আয়োজনের ক্ষেত্রে তাঁরা যে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, সেটা যাতে না হয় তার জন্য আগেভাগে কিছু দায়িত্ব তাঁরা ভাগ করে নিতে চান বলে জানিয়েছেন। শিলিগুড়ি ক্রীড়া পরিষদ সচিব জানান, টিকিট বণ্টন, নিরাপত্তা, আয়োজন নিয়ে কতটা দায়িত্ব নিতে হবে তা পরিষ্কার করে নিতে চাই। পরে বদনাম কুড়োতে পারব না।’’ মূলত ডার্বির চূড়ান্ত অব্যবস্থার পরেই তাঁদের এই সাবধানতা বলে মনে করছেন ক্রীড়ামোদীরা। কারণ শহরের লোকেরা আয়োজক বলতে ক্রীড়া পরিষদকেই বুঝছে। তাই যে কোনও ক্ষোভের চাপ তাঁদেরই সামলাতে হচ্ছে। তবে মোহনবাগানের দিক দিয়ে খেলা শিলিগুড়িতে খেলিয়ে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের জবাব দেওয়ার ইচ্ছেটা রয়েই গিয়েছে।
শহরের মানুষও অপেক্ষা করে রয়েছেন আরও একটি বড় ম্যাচের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy